খবর
২১/০৪/২০১৮
•  জিএসটি আদায়ে জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী জানান, জিএসটি আদায়ের সাফল্যের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর নিরিখেও রাজ্যকে অভিনন্দন জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান যেখানে গোটা দেশে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭.৯ শতাংশ, সেখানে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই তা কমে দাঁড়িয়েছে তিন শতাংশেরও কম।

•   পঞ্চায়েতের কাজের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গকে সেরার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কাজের সাফল্যে তিনি গর্বিত। ভবিষ্যতেও এভাবেই রাজ্যকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা ও তার সার্থক রূপায়নের কর্মসূচী।
২০/০৪/২০১৮
•  সিভিল সার্ভিস দিবস পালিত হল কলকাতার আলিপুরের ‘ উত্তীর্ণ ’ মঞ্চে। গত বছর ২০১৭ সালে রাজ্যে প্রথম সিভিল সার্ভিস দিবস পালন করা শুরু হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন যে রাজ্যের সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সরকারের জনহিতকর কর্মসূচী ও প্রকল্পের রূপায়নে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আদতে উপকৃত হন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের উন্নয়নে গতি আনার ক্ষেত্রে সিভিল সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাই, রাজ্যের সকল আইএএস, আইপিএস এবং রাজ্যের সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এদিন অভিনন্দন জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
০৩/০৪/২০১৮
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী জানান, গ্রামীন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ১০০দিনের কাজে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের রাজ্যে ৩০.৯৮ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে, সমগ্র দেশে যা সর্বোচ্চ। এছাড়া, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে ৮০০৭.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটিতেও দেশের মধ্যে এগিয়ে আছে বাংলা। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গড় শ্রম দিবসের নিরিখে ৫৯ দিন কাজ হয়েছে।

•   রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি থেকে দেশের বিভিন্ন বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর বিগত ২০১৪-১৫ আর্থিকবর্ষ থেকে ২০১৭-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের প্রভাব দেশের ব্যাঙ্ক শিল্পে পড়েছে। এইদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে কমবেশি এই ২লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকার ঋণ সরাসরি মুকুব বা ‘রাইট অফ’ করে দেওয়া হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে কৃষি ঋণের চাপে দেশে কৃষকের আত্মহত্যার মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে সেই দিকে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না। কৃষি ঋণ মুকুবের কোনও সরকারী ঘোষণা আজও হয়নি। এই বিপুল টাকা কাদের কাছে ঋণ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, সে সব ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য তীক্ষ্ণ ভাষায় দাবী তুলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যসভায় জানানো হয়েছে জানিয়েছে ঋণ খেলাপিদের নামের তালিকা অর্থাৎ কাদের ঋণ তারা মুকুব (রাইট অফ) করছে, সেই তালিকা কোনও ভাবেই প্রকাশ করা হবে না।
০২/০৪/২০১৮
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী এদিন জানান যে নোটবন্দীর নানান কুফল এবং তড়িঘড়ি জিএসটি লাগু করার ফলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়া সত্ত্বেও রাজ্যের আর্থিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য এসেছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে পরিকল্পনা খাতে রাজ্যের অগ্রগতি বিশেষ ভাবেই উল্লেখযোগ্য। চলতি আর্থিকবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে যাবার মতো ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ % কিন্তু রাজ্য সরকারের স্থিতধী পর্যালোচনা এবং ক্রমাগত কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে ১৬.৫% আর্থিক বিকাশ ঘটেছে পরিকল্পনা খাতে। ২০১৬-১৭ সালে ৪৯,৬০৯ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ সালে ৫৭,৭৭৮.৬০ কোটি টাকার উত্তরণ নিশ্চিত ভাবেই রাজ্যের আর্থিক বিকাশের সুনিশ্চিত সংকেত। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বার্তায় আরও জানান যে এই বিকাশের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গেছে ২০১০-১১ সালের ( ১১,৮৩৭.৮৫ কোটি টাকার) নিরিখে প্ল্যানড এক্সপেন্ডিচার ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯%। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের ১২,০২৮.৫০ কোটি টাকা থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে ১৯,০৮৪.৭০ কোটিতে পৌঁছেছে। ২০১০-১১ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে বৃদ্ধির পরিমাণ সাড়ে আট গুণ। এছাড়া, রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব আদায়ের বৃদ্ধির পরিমাণও বেশ উল্লেখযোগ্য। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫২,৯৭১ কোটি টাকা। বিগত ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে এর পরিমাণ ছিলো ৪৫,৬৪৭ কোটি টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ৭,৩০০ কোটি টাকা। আর্থিক ক্ষেত্রে এই মাত্রাতিরিক্ত সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে চারশ’র বেশী প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক এবং রাজ্য,জেলা, ব্লক স্তরের পরিষেবা প্রদান।