খবর
২৮/০৯/২০১৩
•  নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য ক্রীড়া দফতর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী রাজ্যের ৬৩ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে ‘খেল সম্মান’ প্রদান করেন। ২৬ জনকে ‘খেল সম্মান’ পুরস্কার, ১২ জনকে ‘ক্রীড়া গুরু’ পুরস্কার এবং ২০ জনকে ‘বাংলার গৌরব’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি এবং প্রখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজকে তাঁদের নিজ নিজ ক্রীড়া ক্ষেত্রে সারাজীবনের অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘খেল রত্ন’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২৫/০৯/২০১৩
•  জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে বাঁকুড়ার বারিকুলে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক পরিষেবা প্রদান করেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রায় ৭০টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাঁকুড়ায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস। জঙ্গল মহলের ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেন তিনি। তিনি জানান, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে ক্ষুদ্র শিল্প হাব তৈরি করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জঙ্গলের উপর জন জাতির মানুষের অধিকার জন্মগত। তাঁদের এই অধিকার দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও যত্নবান হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ২০০৫ সালে মাওবাদী হানায় নিহত ওসি প্রবাল সেনগুপ্তের নামে বারিকুলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ হবে। বাঁকুড়ার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিশু বিকাশ বিভাগের মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জি, সাংসদ মুকুল রায় এবং স্থানীয় বিধায়ক ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

•  এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদা কলেজ মাঠে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী আরও একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কৃষকদের কৃষিকাজের সহায়ক বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আর্থিক অনুদান সহ একাধিক পরিষেবা প্রদান করেন। তিনি ঘোষণা করেন ওই জেলায় আরও ১০টি কলেজ ও আইটিআই তৈরি করা হবে। তিনি আরও ঘোষণা করেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প হাব তৈরি করার জন্য ২৫,০০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আর্থিক উন্নয়নের জন্য শিলদা, গোয়ালতোড় এবং আন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলকে নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহলে মানুষের উন্নয়নের জন্য জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা ও সাংসদ মুকুল রায় সহ স্থানীয় বিধায়ক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
২৪/০৯/২০১৩
•  পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বাঘমুণ্ডিতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এই প্রথম কোনো মুখ্যমন্ত্রী একদা উগ্রবামপন্থী অধ্যুষিত বাঘমুণ্ডিতে উন্নয়ন বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছালেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়াবাসীর উদ্দেশ্যে জানান যে,'বন্দুক নয়, দু'হাতে কাজ আর পেটে ভাত চাই।' নাম না করে এভাবেই অস্ত্রের রাজনীতির বিরোধিতা এবং উন্নয়নের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। অযোধ্যা পাহাড়কে ঘিরে পর্যটন শিল্পের পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক পরিষেবা প্রদান সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অযোধ্যা পাহাড়ের জন্য বিশেষ মোবাইল স্বাস্থ্য পরিষেবা ও মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উদ্বোধন। বাঘমুণ্ডির এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও সাংসদ মুকুল রায় ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
২৩/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী পুরুলিয়া জেলা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে জেলার উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর তিনি অযোধ্যা পাহাড় পরিদর্শনে যান।
২০/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এদিনের বৈঠকে তিনি হুগলি জেলায় উন্নয়নের কাজের খতিয়ান নেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

•  হুগলি জেলার কামারকুন্ডুতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান গত দু’বছরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ‘নিজভূমি নিজগৃহ’ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখের বেশি পাট্টা প্রদান করা হয়েছে এবং গরিব মানুষের জন্য ‘অধিকার’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য প্রায় ২৫০টি মার্কেট হাব গড়ে উঠবে, যেখানে স্বনির্ভর দলগুলির তৈরি সামগ্রী বিক্রি। কিছুদিনের মধ্যেই মহিলা ও শিশুদের সাহায্যার্থে রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী, শিশুসাথী ও যুবশ্রী প্রকল্প চালু করা হবে।
১৯/০৯/২০১৩
•  বর্ধমানের অন্ডালে 'এরোট্রোপলিস' বিমান নগরী প্রকল্পে নবনির্মিত বিমানবন্দরের টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে নতুন বিমান বন্দরটির নামকরণ করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ক্ষুদ্র-কুটির ও বস্ত্র শিল্প বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং সাংসদ মুকুল রায় ও দীনেশ ত্রিবেদী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরের সরকারি আধিকারিকসহ এরোট্রোপলিস প্রকল্প রূপায়নকারী চাঙ্গি শিল্পগোষ্ঠীর কর্তারা।

•  দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সৃজনী হলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। বর্ধমান জেলায় উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

•   বর্ধমানের কাঁকসায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী পাট্টাসহ বেশ কয়েকটি পরিষেবা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি জানান জেলাগুলিতে প্রশাসনিক এবং উন্নয়নের কাজের তদারকি করতে তৈরি হচ্ছে মিনি মহাকরণ। তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে তাতে সামিল হবেন হস্তশিল্পী এবং লোকশিল্পীরাও। উন্নয়ন প্রকল্পগুলির প্রচারে তাঁদের কাজে লাগিয়ে সরকার মাসোহারা দেবে। এদিন কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিশুসাথী ইত্যাদি জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যবাসীকে স্বনির্ভর করার জন্য সরকারের এই সকল উদ্যোগ। তাঁর আশা, বর্ধমান জেলা অন্যান্য জেলাগুলির কাছে একাধারে কৃষি এবং শিল্পের আদর্শ হয়ে উঠবে । কাঁকসার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ক্ষুদ্র-কুটির ও বস্ত্র শিল্প বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

•  কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ৮৯তম জন্মদিবসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মহাকরণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৭/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী মহাকরণের নতুন ভবনের নাম দিলেন 'নবান্ন'।
১৬/০৯/২০১৩
•  কলকাতার মিলন মেলা প্রাঙ্গনে সিনার্জি এম এস এম ই, ২০১৩-এর উদ্বোধন করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসাই এই মেলার উদ্দেশ্য। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ক্ষেত্রে প্রায় ১ কোটি কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১০টি গ্রামীণ হাব তৈরি করার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সঙ্গে রাজ্য সরকারের মউ সাক্ষরিত হয় এদিন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন পশ্চিমবঙ্গে শিল্প গড়ে ওঠার জন্য সব সম্পদই মজুত আছে, বিনিয়োগের পরিস্থিতিও অনুকূল। অনগ্রসর জেলাগুলিতেও শিল্পবিকাশ ঘটাতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের বিশ্বব্যাপী বিপণনের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ড’-এর উদ্বোধন করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। ব্র্যান্ডের লোগোটি তাঁর নিজেরই তৈরি। ‘শিল্প করুন বাংলা গড়ুন’ এই ব্র্যান্ডের স্লোগান। উৎকৃষ্ট মানের পণ্য এই ব্র্যান্ডের নামে দেশে ও বিদেশে বিপণন করা হবে।

•  মাননীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর তিন দিনের সফরে রাজভবনে তাঁর সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।

•  রাজ্যের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদের সঙ্গে মহাকরণে একটি বৈঠক করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। দীর্ঘ ৪১ বছর পর একজন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়ন বিষয়ক বৈঠকে অংশ নিলেন। এ রাজ্যের বিদ্বজ্জন, প্রাক্তন আই এ এস এবং মন্ত্রীদের কাছে রাজ্যের উন্নয়ন বিষয়ে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন আই এ এস ও সাংসদ নীতিশ সেনগুপ্ত, পদার্থবিদ বিকাশ সিনহা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী রচপাল সিং, বিদ্যুৎ মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং পূর্ত মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।
১৫/০৯/২০১৩
•  কলকাতার আর্চবিশপ টমাস ডিস্যুজার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী তাঁদের স্কুল চালানোর কাজে রাজ্য সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান। দমদমের একটি মিশনারি স্কুলের এক ছাত্রীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর ঘটনাচক্রেই এই সাক্ষাৎকার।
১৪/০৯/২০১৩
•  তিন দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী।
১৩/০৯/২০১৩
•  জেলাসফরের চতুর্থ দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিদর্শনে গেলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী । রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজ কেমন এগোচ্ছে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই তাঁর এই জেলাসফর। জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বৈঠকও করেন তিনি এদিন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ওই একই দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ঘোষণা করেন এবং বেশ কিছু পরিষেবাও প্রদান করেন, এর মধ্যে বন্যা দুর্গত মানুষদের ঘর-গেরস্থালি পুণস্থাপনের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা উল্লেখযোগ্য। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বন্যা দুর্গতদের জন্য সুপরিকল্পিত ও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে তিনি যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। চেষ্টা ও পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। তাই তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াই বিফলে যাবে না, রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে।
১২/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী মহাকরণে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। অক্টোবরে মহাকরণ থেকে হাওড়ার এইচআরবিসি বিল্ডিং-এ বিভিন্ন দপ্তরগুলির স্থানান্তর প্রসঙ্গে বিশদ আলোচনা হয় এই বৈঠকে। হাওড়ার পাঁচলায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণার সঙ্গে বেশ কিছু জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, হাওড়ায় বেশ কয়েকটি শিল্প তালুক তৈরি হতে চলেছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, পাঁচ বছরের মধ্যে হাওড়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, হাওড়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে এবং পুরোনো রাস্তাগুলির সংস্কার করা হবে। এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একটি প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করেন, যার নাম 'অধিকার'। রাস্তার পাশে গুমটিতে বসবাসকারী মানুষের পুনর্বাসনের জন্য এই প্রকল্পের ভাবনা।

•  উত্তর কলকাতার ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এদিন তিনি ওই ছাত্রীর মা-র সাথে ফোনে কথা বলেন। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ছাত্রীটির পরিবারকে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
১১/০৯/২০১৩
•  দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষাহাটে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এর আগে জেলার সকল মন্ত্রী, জেলা শাসক ও অন্যান্য আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পাথরপ্রতিমা ও নামখানায় ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র এবং ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ গবেষণা ও সংরক্ষণ কেন্দ্র। তিনি জানান, জেলার উন্নয়নে এবং সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এইসব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সরকার যে সব প্রকল্প গ্রহণ করেছে, সে সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্গা পুজোর আগে ৯টি জেলা এবং পুজোর শেষে বাকী জেলাগুলির সফরে যাবেন তিনি। এদিন তিনি আরও জানান, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কথা ভেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে সুন্দরবন অঞ্চলকে পৃথক জেলার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। এদিনের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বেশ কিছু জনকল্যাণমুখী পরিষেবাও প্রদান করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
১০/০৯/২০১৩
•  উত্তর ২৪ পরগনায়, বারাসতের কাছারি ময়দানে এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। এদিন তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে উন্নত জীবন যাপন করতে পারেন তার জন্য, রাজ্য সরকার যে প্রয়াস নিচ্ছে তা মানুষকে জানানো দরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে স্বরোজগার যোজনা, গ্রামোন্নয়ন যোজনা, সবজি বিক্রেতাদের ভ্যান বিতরণ, ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল ও বৃত্তি প্রদান, মৎসজীবী ও হস্তশিল্পীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান ইত্যাদির পরিষেবা প্রদান করে তিনি জানান, সব ক্ষেত্রেই সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে এবং তাঁরা যাতে নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র সহজেই বিক্রি করতে পারেন তার জন্য সারা রাজ্যে প্রায় ১০০টি বাজার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে ৩৪১টি কিষান বাজার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাটপাড়া ও বরানগরে ২টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে হার্ট অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্টেন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৪০,০০০ টাকায়, যেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্টেন্টের দাম প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা। রাজ্য সরকারের পরবর্তী উদ্যোগ, রাজ্যে ৫১টি ন্যায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৈরি করা। এছাড়া ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানগুলিতে সাধারণ ছাড়ের পাশাপাশি ৫৪% ছাড়ে ইনস্যুলিন এবং বিভিন্ন জেলায় বিনামূল্যে ক্যান্সারের ওষুধ দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ঘোষণা করেন, ১ অক্টোবর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পে যাদের পারিবারিক আয় বার্ষিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কম, সেই পরিবারের অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য বছরে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। এছাড়া ১৮ বছরের বেশি অবিবাহিতা মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে 'ব্র্যান্ড বাংলা' তৈরির কথা বলেন, যেখানে আরও অনেক বেশী কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন মৎসজীবীদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রচারে হস্তশিল্পীদের কাজ দেওয়া হবে যাতে তাঁরা কিছু উপার্জনের সুযোগ পাবেন। ১লক্ষ বেকার যুবককে ১৫০০ টাকা করে বেকারভাতা দেওয়ার প্রকল্পটি চালু হবে ৩ অক্টোবর থেকে। হিন্দু ও মুসলিমকে একই বৃন্তে দুটি কুসুম উল্লেখ করে তিনি বলেন উভয় ধর্মই তাঁর কাছে সমান আদরনীয়। কোন মূল্যেই এরাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তিনি নষ্ট হতে দেবেন না। এছাড়া বেআইনি অস্ত্র মজুত ও কারবার সম্পর্কে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, স্বাস্থ্য বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য এবং সাংসদ সৌগত রায়, মুকুল রায়, গোবিন্দ চন্দ্র নস্কর, দীনেশ ত্রিবেদী ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা।
০৯/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী মহাকরণে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মোট ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের ১৮টি জেলাতে পিপিপি মডেলে কৃষকদের জন্য মেগা বাজার তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষকেরা দালালচক্রের হাতে আর প্রতারিত হবেন না। এদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পটি সঠিকভাবে কার্যকরী করতে ৪৯২টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ছোট, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্য বিপণনের জন্য ব্র্যান্ড বেঙ্গল মার্কেটিং কর্পোরেশন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তন্তুজ, মঞ্জুষা, রেশম শিল্পী সমবায়, বঙ্গশ্রী, খাদি ও চর্মজ- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার তলায় আনার কথা বলেন তিনি। কর্পোরেশনটি চালু হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্রব্য বিপণনের কাজ সহজতর হবে। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে একত্রিত করে এক ছাদের নীচে এনে উৎপাদিত পণ্য আঞ্চলিক বাজার এবং বিশ্বের বাজারে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। এই কর্পোরেশন গঠনের পর হস্তশিল্পী ও কর্মীরা অনেক বেশী উপকৃত হবেন। এই সাংবাদিক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানান, রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য রাজারহাট নিউটাউনে পাঁচ একর জমি অনুমোদন করা হয়েছে। আমেরিকার শিকাগোর অনুকরণে এখানে তৈরি হবে সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সেলেন্স। এ রাজ্যের তরুণ চলচ্চিত্র প্রতিভাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য ২টি ফিল্ম সিটির পর এবার বারুইপুরে একটি টেলি স্টুডিও তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
০৬/০৯/২০১৩
•  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম অনুমোদিত ঋণের চেকও প্রদান করেন । এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি কর্মপরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১ লাখ ৭৬ হাজার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের সরকার থেকে স্কুলের পোষাক দেওয়া হবে। রাজ্যের ১৯টি জেলায় সংখ্যালঘু ভবন তৈরির কাজ চলছে। তিনি এও বলেন যে, সাম্প্রতিক বাজেট অধিবেশনে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের জন্য বরাদ্দের হার বেড়েছে। আইন অনুযায়ী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা ইমাম ও মোয়াজ্জিন-এর নিরাপত্তার জন্য রাজ্যসরকারের তরফ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুলতান আহমেদ, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার,সংশোধন প্রশাসন মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি, গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি।

•  বিশিষ্ট নাট্যকার, কবি ও গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মসার্ধশত বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বেলভেডিয়ার রোডে প্রস্তাবিত ধনধান্য স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুরস্কৃত করা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে জানান আলিপুর ব্রিজের নতুন নামকরণ হবে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নামে। এছাড়া আলিপুরে একটি ১৮০০ আসনবিশিষ্ট মুক্তমঞ্চ ও বিপণন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতিমনস্ক হওয়ার আবেদন জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে। নূপুর ছন্দা ঘোষ, অলোক রায়চৌধুরী, ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ ও লোকরঞ্জন শাখার শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনায় এদিনের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত শ্রুতিনন্দন হয়ে উঠেছিল।
০৫/০৯/২০১৩
•  দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের ১২৫তম জন্মদিবসে মহাকরণে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী।

•  শিক্ষক দিবসে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাকে অভিনন্দন জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ১০০ জন কৃতি শিক্ষক শিক্ষিকাকে 'শিক্ষারত্ন' সম্মান প্রদান করেন তিনি। আগামী শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে চালু হতে চলেছে নতুন পাঠক্রম। দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর জন্য নতুন পাঠ্য বই প্রকাশ করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের মন্ত্রী জনাব আব্দুল করিম চৌধুরী এবং ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিনের অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সমগ্র রাজ্যে আরও কয়েকটি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের জন্য শিক্ষা কমিশন গড়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি এই অনুষ্ঠানে। চার পাঁচজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে নিয়ে তৈরী হবে এই কমিশন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যাই যথেষ্ট নয়। পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ, গান,ছবি আঁকা, শরীর চর্চার উপর গুরুত্ব দিতে বলেন ছাত্রছাত্রীদের।

•   মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ঘোষণা করেন যে, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একটি নিজস্ব সঞ্চয় প্রকল্প চালু করতে চলেছে আগামী ৫ অক্টোবর, ২০১৩ থেকে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে 'আর্থিক সুরক্ষা প্রকল্প' বা 'সেলফ সেভিংস স্কিম'। ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিতে টাকা রেখে সাধারণ মানুষ যাতে সর্বস্বান্ত না হন, সেই কথা মনে রেখেই এই প্রকল্পের সূচনা। সুদের অঙ্ক নয়, জনগণের অর্থের নিরাপত্তাকেই এই প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সুদের হারেই সুদ এবং কর ছাড় পাওয়া যাবে এই সঞ্চয় প্রকল্পে। প্রাথমিক স্তরে এই প্রকল্প কার্যকরী হবে শুধুমাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কগুলিতে। এই ব্যাঙ্কগুলির বিশেষ কাউন্টার থেকে বিনিয়োগকারীরা টাকাপয়সার লেনদেন করতে পারবেন। প্রয়োজন হলে ন্যুনতম ৩ মাস পর লগ্নিকারী তাঁর সুদবিহীন পুরো টাকা তুলে নিতে পারবেন। এই প্রকল্প অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি ১ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত এবং যৌথভাবে/পারিবারিকভাবে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা রাখতে পারবেন এবং সঞ্চয়ের মেয়াদ হবে ন্যুনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পাহাড় প্রসঙ্গে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়া বা রাজ্য সরকারের সাথে কথা না বলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পাহাড় সমস্যা নিয়ে কোনও আলোচনা কেন্দ্রীয় সরকার করবে না অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই কথা রাখেনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন কেন্দ্র তার সীমা লঙ্ঘন করে কাজ করছে। এ ধরণের অসাংবিধানিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
০৩/০৯/২০১৩
•  উত্তরবঙ্গ সফরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। কালিম্পঙের মেলা মাঠে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। লেপচা সম্প্রদায়ের তরফ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সম্প্রদায়ের বিশেষ সম্মান 'কিংচুম দারমিত' (ভাগ্যবিধাতা) সম্মানে সম্মানিত করা হয়। 'ইন্ডিজেনাস লেপচা ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশন'-এর পক্ষে এই সম্মান ও স্মারক তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পাহাড়ের লেপচা, তামাং, নেপালিসহ সকল বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন লেপচা সম্প্রদায়ের মানুষ দার্জিলিং-এর আদি বাসিন্দা। তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষনের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। লেপচা হেরিটেজ সেন্টার, লেপচা অ্যাকাডেমি, কমিউনিটি সেন্টার, লাইব্রেরী তৈরি করা হবে। এছাড়া পাহাড়-ডুয়ার্স অঞ্চলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রাথমিক স্তরে লেপচা ভাষার অন্তর্ভুক্তি হবে। এছাড়া নিয়োগ করা হবে ৫ হাজার পুলিশ কর্মী। পাহাড়ে আন্দোলনের নামে যারা উন্নয়নের বিরোধিতা করছেন তাঁদের কড়া ভাষায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করে বলেন সাধারণ মানুষের কষ্ট এই সব নেতারা বোঝেন না। তাঁরা সরকারী রেশন সাধারণ মানুষকে তুলতে বাধা দিচ্ছেন। মানুষকে ঘর থেকে বেরোতে দিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষ খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন দিনের পর দিন, এই অবস্থা মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন বাংলা ভাগ না করেই দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্সিয়াং-এ উন্নয়ন সম্ভব এবং তা করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে পাহাড়-ডুয়ার্সকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌছে দিতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। কালিম্পঙে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, সাংসদ মুকুল রায়, মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।

•  রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মহাকরণে মহানায়ক উত্তমকুমার-এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।