ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও বস্ত্র
•   ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ, হ্যান্ডলুম, পাওয়ারলুম এবং রেশম কীট পালন রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প-অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এইসব ক্ষেত্রের বিশাল সম্ভবনা থাকায় এর উন্নয়ন ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকার গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ।

•   মে ২০১১ থেকে জুলাই ২০১৪ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ স্থাপিত হয়েছে ৩৭,৬৩০টি এবং এইসব উদ্যোগে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩,৪৭,৮০১ জনের। এই সময়কালে এই বিভাগ ৩০৪২৯টি উদ্যোগ স্থাপন করার প্রস্তাব পেয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ১,৫৯,২১৭ জন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে আশা করা যায়।

•   ১৬,১৪৪ জন সম্ভাব্য উদ্যোগপতিকে মে ২০১১ থেকে জুলাই ২০১৪ পর্যন্ত ইডিপি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

•   ‘প্রধানমন্ত্রীর কর্মসৃষ্টি কর্মসূচি’ (পিএমইজিপি)-র অধীনে সম্মিলিত প্রকল্প ব্যয় ৭৩০.৫২ কোটি টাকা-সহ ১৫৩৩২টি উদ্যোগকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চালু হলে এইসব ইউনিটগুলিতে প্রায় ১,২০,৬৪৯ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থান হবে।

•   পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রোৎসাহন কর্মসূচির অধীনে এই সময়কালে ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগকে ফিসক্যাল ইনসেন্টিভ হিসাবে ২১৩.৩২ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

•   ‘গুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচী’র অধীনে জুলাই ২০১৪ পর্যন্ত এই দফতর ২১৫টি ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ, হ্যান্ডলুম ও খাদির সমন্বয়ে ক্লাস্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত সরকারের এমএসই-সিডিপি প্রকল্পের অধীনে ৩০টি গুচ্ছের কাজ শুরু হচ্ছে এবং ৬২টি গুচ্ছ নির্মীয়মান। সারা রাজ্যে ৮৭টি গুচ্ছ ছাড়াও শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১,১৫৩ জন তন্তুবায়কে নিয়ে একটি ‘কম্প্রিহেন্সিভ হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউনেসকো-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলার ৮টি ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পসহ ৩৭টি গুচ্ছের কাজ চলছে।

•   ২০১২ সালে মোট ২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ন্যাচারাল ফাইবার মিশন’ (এনএফএম) প্রকল্পের অধীনে তন্তুজাত শিল্পের বিকাশে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা ১০টি প্রাকৃতিক তন্তুকেন্দ্রিক প্রকল্পে পুণর্নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজ্যের ১১টি অনগ্রসর জেলায় ২৫টি কর্মতীর্থ নির্মানের মাধ্যমে এই পুণর্নির্মানের কাজ চলছে।

•   রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের উন্নয়নে গতি আনতে মালদায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সুসংহত সিল্ক পার্ক তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এই পার্ক তৈরির জন্য ভূমি সংস্কারের কাজ চলছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় রেশম গুটি ও রেশম সুতো তৈরির পরবর্তী পর্যায়গুলিতে উপকৃত হবেন রেশম শিল্পীরা।

•   শান্তিনিকেতনে ৫০ একর জমিতে ‘বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বর্ষেই এই বাজার তৈরির কাজ শুরু হবে।

•   বাংলার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এবং একই সঙ্গে এগুলির বিপণনকে বিশ্বায়িত করতে ‘বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ড’ (www.biswabangla.in) চালু করা হয়েছে। এর ফলে বাংলার হস্তশিল্প, তাঁতশিল্প এবং অন্যান্য কয়েকটি ক্ষুদ্রশিল্পকে এই ব্র্যান্ডের অধীনে একই ছাতার নীচে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা বিমানবন্দরে বিশ্ব বাংলার প্রথম শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় শো-রুমটির উদ্বোধন হয় কলকাতার দক্ষিণাপন-এ, ২০১৪-এর অগাস্টে। এ ছাড়া ২০১৩-এর ডিসেম্বরে নিউ টাউনের ইকো ট্যুরিজম পার্কে বিশ্ব বাংলা হাট তৈরি করা হয়েছে।

•   হস্তশিল্প কারিগরদের বিপণন সুবিধা দানের জন্য দুর্গাপুর , শিলিগুড়ি, বোলপুর এবং কলকাতায় ‘আরবান হাট’ তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটির ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি (আই এ) ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এক্সপোর্ট প্রোমোশন সোসাইটি (ডব্লিউবিএসইপিএস)। দুর্গাপুর হাট ২০১২ সালে কাজ শুরু করেছে। বিশ্ব বাংলা হাট উন্নয়ন করে কলকাতা আরবান হাট তৈরি করা হয়েছে। ২০১৪-এর অক্টোবরে বোলপুর হাট চালু হয়ে যাবে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় শুরু হয়ে যাবে শিলিগুড়ি হাট। একই উদ্দেশ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়্গ্রাম ও আলিপুরদুয়ারে ৪টি রুরাল হাট স্থাপন করা হয়েছে। বাঁকুড়া (বিষ্ণুপুর) এবং পুরুলিয়ার হাটগুলি চলতি বছরের শেষেই চালু হবে।

•   এই বিভাগ আন্তর্জাতিক, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের হস্তশিল্প মেলায় ১৮,৪০০ জনের অধিক কারিগরকে অংশগ্রহণ করার সুযোগদান করেছে, যেখানে মোট বিক্রয়ের পরিমান ছিল প্রায় ৯৫.২০ কোটি টাকা।

•   এই সময়কালে ৫,১৩,৯৭৭ জন হস্তশিল্প কারিগরকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।

•   তাঁতের পুনরুজ্জীবন, সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রায় ২৫.৯৮ কোটি টাকা প্রদান করেছে। উপকৃত হয়েছে ৪৪৮টি তাঁত সমবায় এবং প্রায় ১৪৮৭ জন তন্তুবায়।

•   সহজে ঋণ পাওয়ার জন্য প্রায় ১৭,৭৯৩ জন তন্তুবায়কে ‘উইভার্স ক্রেডিট কার্ড’ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে এই সকল তন্তুবায়রা মোট ৫০.০২ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন।

•   ২০১৪-১৫ বর্ষে প্রায় ৩,৮১,৭১৪টি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৪৩৭৫ জন তন্তুবায়কে আনা হয়েছে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায়। ৪৯,৯৮৯ জন তন্তুবায়কে আনা হয়েছে মহাত্মা গান্ধী বুনকর বিমা যোজনার আওতায়। কার্সিয়াং-এ একটি হ্যান্ডলুম অফিস ও উইভার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তাঁতশিল্পের প্রাথমিক ও শীর্ষ সমবায় সমিতিগুলিকে মার্কেটিং ইনসেন্টিভ হিসাবে ১৮.৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ বর্ষে চালু করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হ্যান্ডলুম সার্কিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৪.১১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৯৬.১১৫ জন তন্তুবায় এবং তাঁত সংশ্লিষ্ট পেশায় নিযুক্ত মানুষের দক্ষতার বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সল্টলেকের তন্তুজ ভবনে গঠিত হয়েছে রাজ্য ডিজাইন ফেসিলিটেশন সেন্টার। এখানে তাঁতশিল্পের সেরা নকশাদারদের বহুমুখী প্রশিক্ষণ দেবে পেশাদারি শিল্পীরা।

•   ২০১৩-১৪ বর্ষে তন্তুজের বিক্রির পরিমাণ পৌঁছেছে ৮৫.৪৭ কোটি টাকায়। ২০১১-১২ বর্ষে এই পরিমাণ ছিল ৭৫.১৮ কোটি টাকা ও ২০১১-১৩ বর্ষে টা ছিল ৭৬.৭৪ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ বর্ষে বিক্রির লক্ষ্য ধার্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ২৫ বছর পর, ২০১৩-১৪ বর্ষে প্রথম লাভের মুখ দেখে তন্তুজ, যার পরিমাণ ১৯.১৪ লক্ষ টাকা। চলতি বছরেই রপ্তানির মাধ্যমে এই সংস্থা লাভ করেছে US $ ৭৬৮৪ । নদীয়ার ফুলিয়াতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউ অফ হ্যান্ডলুম টেকনলজি স্থাপিত হয়েছে।

•   ২০১৩-১৪ বর্ষে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রশিল্পের উন্নতিসাধনের জন্য শুরু হয়েছে ‘এমএসএমই পলিসি ২০১৩-১৮’ এবং ‘টেক্সটাইল পলিসি ২০১৩-১৮’। এই পলিসির মাধ্যমে এই দুই বিভাগকে নানারকম উৎসাহ ভাতা প্রদান করা হবে।

•   রেশম চাষের ক্ষেত্রে নতুন করে ৬৩০২ একর জমিকে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এতে ২০১১-১৪ বর্ষে প্রায় ৩৮,১৫৬ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। রেশম চাষের পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে ১১.২৭ কোটি টাকা। জঙ্গলমহলে রোগমুক্ত তসরের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ -১৪ বর্ষে Bivoltine Mulberry Silk-এর উৎপাদন বছরে ১.৪ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৩.৫ মেট্রিক টন হয়েছে, যা রাজ্যের রেকর্ড উৎপাদন। ‘রেশম বন্ধু’র মতই চালু করা হয়েছে ‘তসর বন্ধু’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে জঙ্গলমহলের রেশমচাষীরা কীটপোষ সম্পর্কিত খামারের কাজে সমস্ত রকম সহায়তা পাবেন।

•   এই দফতর সিএমআইআর সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএসআইআর-সিজিসিআরআই)-এর সহযোগিতায় কলকাতার যাদবপুরে একটি এমএসএমই টেকনোলজি ফেসিলিটেশন সেন্টার (টিএফসি) গঠন করেছে। এর ফলে একদিকে যেমন তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব দূর করা যাবে, তেমনি উদ্যোগপতিরা সঠিক প্রযুক্তির সন্ধান পাবেন। যারা নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছে এবং যাদের এই প্রযুক্তির প্রয়োজন - এই দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ ঘটাবে এই টিএফসি। আইসিটি দ্বারা চালিত পোর্টাল www.msmetfc.in-এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং-এর মধ্যে দিয়ে এই কাজটি করা হবে।

•   রাজ্য সরকার, ব্যাঙ্ক ও উদ্যোগপতিদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্ব দিতে প্রতি জেলায় প্রতি মাসে চালু করা হয়েছে ‘ফাইন্যান্স ক্লিনিক’। বর্তমান ও সম্ভাব্য উদ্যোগপতিদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এবং বোঝানো হচ্ছে, কিভাবে নানা সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। এই অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত থাকছেন ব্যাঙ্ক ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা।

•   ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ঘটাতে গিয়ে দেখা গেছে জমির প্রকৃতি বদল ও জমির মিউটেশন নিয়ে ছাড়পত্র পাওয়ার সমস্যাগুলি উঠে আসছে। এই সমস্যাগুলির সমাধানে একটি পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের অন্তর্গত ইউনিক ক্লিয়ারেন্স সেন্টারটি (ইউসিসি) তৈরি হয়েছে হাওড়ার জেলাশাসকের দফতরে, জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে। ২০০৯-১০ থেকে পড়ে থাকা প্রায় ৮২০টি কেসের সমস্যা মেটানো হয়েছে। বিগত ১২ মাসে নতুন ৩০০টিরও বেশি কেস মেটানো হয়েছে। এই দপ্তর ২০১৪-১৫ বর্ষে আরও পাঁচটি জেলায় হুগলী, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ucc স্থাপন করতে চলেছে যা ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষ থেকে কাজ শুরু করবে।

•   শুরু হয়েছে এমএসএমই ফেসিলিটেশন সেন্টার (এমএফসি)। এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে একমাত্র ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিভাগে বিধিবদ্ধ অনুবর্তিতা দেখবে এমএফসি। ‘Single Application Gateway (SAG)-এর মাধ্যমে http://myenterprise.wp.gov.in পোর্টালের মধ্যে দিয়ে এক জানালা প্রক্রিয়ায় সবকটি সরকারি আধিকারিকের দফতরে একইসঙ্গে আবেদন করতে পারবেন শিল্পোদ্যোগীরা এবং সরকারি ইনটেনসিভও পাবেন।

•   জুলাই ২০১৪ পর্যন্ত WBSIDC-এর অন্তর্গত ৩৮টি শিল্পতালুক বর্তমান। নতুন ৫টি শিল্পতালুক গড়ে তোলা হচ্ছে বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বিভিন্ন জেলায় WBSIDC-এর অন্তর্গত ১০টি কমার্শিয়াল এস্টেট আছে। গঠন করা হচ্ছে সবরকম পরিকাঠামোসম্পন্ন শিল্প ও বাণিজ্য তালুক। RIDF ও IID প্রকল্পের অন্তর্গত এই এস্টেটগুলিতে জায়গা ও পরিকাঠামো পাওয়ার জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ‘লিজ’-এর ব্যবস্থা থাকবে। শিল্পতালুকগুলির উন্নয়নের জন্য রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা, সীমানা পাঁচিল, অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্য ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। হলদিয়া, খড়গপুর, বোলপুর, শক্তিগড়, ডাবগ্রাম ও বাউড়িয়ায় নতুন IID প্রস্তাবের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন প্রকল্প যার জন্য ব্যয় হবে ২২.৫ কোটি টাকা। প্রায় ২০০ একর জমি নিয়ে শিল্পতালুক তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। সমস্ত বড় প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য WBSIDC-কে রূপায়ণকারী সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির অন্যতম হল জলপাইগুড়িতে বানারহাটের ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, বেলুড়ে ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক ও শান্তিনিকেতনে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার।

•   ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের নানাবিধ সমস্যা মেটাতে এই দফতর সেপ্টেম্বর ২০১৩ বর্ষে কলকাতার মিলন মেলায় SYNERGY MSME নামে এক অনুষ্ঠান করে। এই অনুষ্ঠান বিপুলভাবে সাফল্য পাওয়ায় ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বর্ষে শিলিগুড়িতে এবং চলতি বর্ষের অগাস্টে হাওড়ায় SYNERGY অনুষ্ঠিত হয়। এর পরের SYNERGY টি অনুষ্ঠিত হবে মালদায়, চলতি বর্ষের নভেম্বরে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এই অনুষ্ঠানের আওতায় আসবে।

•   ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগে আরও গতি আনতে এই দফতরের পক্ষ থেকে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে মাঝারি উদ্যোগে। সেই কারণে এই দফতরের নাম, যা আগে ছিল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর, এখন নতুনভাবে সেজে উঠেছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতর হিসাবে।