ভূমি ও ভূমি সংস্কার
•   ভূমি রাজস্ব সংগ্রহ ও অন্যান্য প্রদেয় আদায় লক্ষ্যনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের বার্ষিক পরিমাণ ছিল মোটামুটিভাবে ২৩০ কোটি টাকা। ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩৮০.১৪ কোটি এবং ৩১৯.১৫ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ তা এসে দাঁড়ায় ৫৮৩ কোটি টাকা, যা সর্বকালীন রেকর্ড।

•   নিজগৃহ নিজভূমি

•   অক্টোবর, ২০১১ থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ১০০৬৮৪টি পাট্টা বিলি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩-১৪ বর্ষে ৮৪৪৯টি কৃষি পাট্টা দেওয়া হয়েছে। ২০১১-১২ সালে বিলি করা হয়েছিল ১২৭৪৫টি কৃষি পাট্টা এবং ৩১৫৭টি নিজগৃহ নিজভূমি পাট্টা। ২০১২-১৩ সালে বিলি করা হয়েছিল ৯৫৮৮টি কৃষি পাট্টা এবং ৬০১৯৩টি নিজগৃহ নিজভূমি পাট্টা।

•   মিউটেশন

•   ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ১২৮২৮৩০টি, ১২১৪৭৭২টি এবং ১৪৯০৩২০টি মিউটেশনের আবেদনের নিস্পত্তি করা হয়েছে।

•   জমির চরিত্র পরিবর্তন

•   ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ৬৭০৫০টি, ৫৩০৬৬টি এবং ৫১৬৩৪টি জমির চরিত্র পরিবর্তনের আবেদনের নিস্পত্তি করা হয়েছে।

•   প্রত্যয়িত প্রতিলিপি প্রদান

•   ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ১৭৪৭৩৩২টি, ১৯৪৯২০৬টি এবং ১১২০২২১টি আরওআর-এর প্রত্যয়িত প্রতিলিপি প্রদান করা হয়েছে। আরও ভাল পরিষেবা প্রদান করার সংকল্প করা হয়েছে।

•   কাউন্টার পরিষেবা

•   ৩৪৫টি বিএল অ্যান্ড এলআরও অফিস থেকে কাউন্টার পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ এখন ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আরওআর-এর প্রত্যয়িত নকল ও প্লট সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।

•   জমি তথ্য নিবন্ধন এবং সমন্বয় সাধন

•   হাওড়া জেলায় জমির তথ্য সংরক্ষণের ও সম্পত্তি নিবন্ধীকরণের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে একটি ই-ইন্টিগ্রেটিং প্রকল্প ‘দিশারি প্রকল্প’ হিসাবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। আগামী অর্থবর্ষে এই সুবিধা সমগ্র রাজ্যেই পাওয়া যাবে। এই ব্যবস্থার ফলে রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সঙ্গেই মিউটেশন করা সহজ হবে।

•   মানচিত্র ও নথি ডিজিটাইজেশন ও একত্রীকরণ

•   ৬৮,৩২৮টি গ্রাম মানচিত্রের মধ্যে ৬১,০৭২টি মানচিত্র ডিজিটাইজ করা হয়েছে এবং ৪২,০৪২টি মৌজার মধ্যে ৪০,১৯৬টি মৌজা ডিজিটাইজ ও আপডেট করা হয়েছে। মানচিত্র ও আরওআর একত্রীকরণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য যেখানে ডিজিটাইজড ক্যাডেস্ট্রাল জমিজরিপ মানচিত্র সংশ্লিষ্ট আরওআর-এর সঙ্গে একত্রীকরণ করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টা ভারত সরকারের ভূমি সম্পদ বিভাগ কর্তৃক মডেল হিসাবে গৃহীত হয়েছে।

•   জমি অধিগ্রহণ

•   বিগত ২ বছরে কেবলমাত্র জনসাধারণের প্রয়োজনেই সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কোনওভাবেই কোথাও জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। কৃষিজমি, সেচের কাজে ব্যবহৃত জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় জমি অধিগ্রহণ যথাসম্ভব পরিহার করা হয়েছে। কোনও প্রাইভেট কোম্পানির জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেচের মতো জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য মে, ২০১১ থেকে মার্চ, ২০১২ পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ আইন মোতাবেক ১০৬৫ একর, ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ১৪৯৭ একর এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ১৮০৮.৬১৫৫ একর জমি অহিগ্রহণ করা হয়েছে।

•   খাস জমি

•   ৫১৭৭ একর জমিকে ২০১৩-১৪ সালে খাসজমি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

•   ল্যান্ড সিলিং-এর উর্দ্ধে জমির জন্য অনুমতি

•   ডব্লুইবিএলআর আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী ১৭টি সংস্থাকে ১৪ ওয়াই ধারা অনুযায়ী ৭৭৪০.২৮২ একর জমি অধিগ্রহণ ও ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আয়লা প্রকল্পে পুনর্বাসন / জমির পুনর্বন্দোবস্তের বিষয়ে নতুন নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের মে মাসে ল্যান্ড অ্যালটমেন্ট পলিসি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে জমির বন্দোবস্ত ও বরাদ্দের কাজ সর্বত্র একইভাবে হবে এবং এই কাজে সমতা ও সচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।

•   হস্তান্তর পদ্ধতি

•   ১. দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত – ক. ক্ষেত্র – ১২৮টি খ. জমির পরিমাণ (একর হিসাবে) – ৫৭১.৩৭ গ. অর্থমূল্য (টাকা) – ৫৪,৮৪,৯৭,৯০০

•   ২. অন্তর্বিভাগীয় হস্তান্তর – ক. ক্ষেত্র – ২৯৫টি খ. জমির পরিমাণ (একর হিসাবে) – ৮৭৫.৭৩ গ. অর্থমূল্য (টাকা) – প্রযোজ্য নয়

•   ৩. কেন্দ্রীয় সরকারকে জমি হস্তান্তর – ক. ক্ষেত্র – ১৫টি খ. জমির পরিমাণ (একর হিসাবে) – ২৭৮.৮৭ গ. অর্থমূল্য (টাকা) – ৩৪৬,৫০,৮৭,১৯৪

•   ই-গভর্ন্যান্স

•   গত ১৯.০৫.২০১২ তারিখে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা এই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী দপ্তরের ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন। এই ওয়েবসাইটের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল বাংলায় ‘KNOW YOUR PROPERTY’, নিজগৃহ নিজভূমি প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য, নাগরিক কেন্দ্রিক পরিষেবা, ‘BHUCHITRA’ সফটওয়্যার, ‘BHU – ADHIGRAHAN’ সফটওয়্যার ও বিভিন্ন সরকারি আদেশনামা / সার্কুলার / বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।