কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার
•   ভূমিকা

•   কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার ( পি অ্যান্ড এ আর) দফতর আইএসএস, ডব্লিউবিসিএস (নির্বাহী), পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয়ের সহকারী ও টাইপিস্ট কর্মীবৃন্দের নিয়ামক কর্তৃপক্ষ। এই দফতরের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলি – ১) প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ২) পশ্চিমবঙ্গ রেসিডেন্ট কমিশনার, নতুন দিল্লী, ৩) ভিজিল্যান্স কমিশনার, ৪) পশ্চিমবঙ্গ তথ্য কমিশন এবং ৫) পশ্চিমবঙ্গ লোকায়ুক্ত। এই দফতরের আর একটি প্রধান কাজ জেলা মহকুমা স্তরে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে অর্থ বণ্টন। ‘তথ্যের অধিকার ২০০৫’, যা একটি কেন্দ্রীয় আইন এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ লোকায়ুক্ত আইন’, ২০০৫ এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন কার্যকর করার বিষয়ে নোডাল দফতর হিসাবে এই দফতর কাজ করে থাকে।

•   দফতরের প্রধান সিদ্ধান্ত ও অর্জিত সাফল্য

•   সরকারি চাকরিতে ‘সি’ ও ‘ডি’ বর্গভুক্ত কর্মীদের নিয়োগক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধসীমা সাধারণ শ্রেণিভুক্তদের জন্য ৩২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪০ বছর, তপশিলি জাতি ও আদিবাসীদের জন্য ৪৫ বছর এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিদের জন্য ৪৩ বছর করা হয়েছে।

•   পশ্চিমবঙ্গ সরকার আঞ্চলিক কার্যালয়গুলিতে পিএসসি বহির্ভূত আধিকারিক ও কর্মী নিয়োগের জন্য ‘স্টাফ সিলেকশন কমিশন’ গঠন করেছে; ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বিজ্ঞপ্তি নং ৩২০-পিএআর (জেনারেল) দ্রষ্টব্য। ১ মার্চ ২০১২ থেকে কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে।

•   বিভিন্ন নাগরিক কেন্দ্রিক পরিষেবাগুলির মান উন্নততর করার জন্য এবং একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে ওই পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে কলকাতায় একটি পৃথক নাগরিক প্রশাসনিক ‘ইউনিট’ গঠনের প্রস্তাব রাজ্য সকার অনুমোদন করেছে। প্রস্তাবটি কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি পেয়েছে।

•   উন্নয়ন কার্যে ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যে অধিকতর সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে মহকুমাগুলির সীমাবদ্ধ পুণর্নির্ধারনের এবং পুরুলিয়া জেলার ঝালদা, মানবাজার নামে দুটি নতুন মহকুমা গঠনের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবটি কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে।

•   ভিজিল্যান্স কমিশন যাতে আরও কার্যকর ও দায়বদ্ধ হয়ে ওঠে সেজন্য এক ব্যক্তির কমিশনকে তিন ব্যক্তির কমিশনে পরিণত করে এই সংস্থাকে আরও মজবুত করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি বিরোধী আইনের নিয়মাবলীর বিচার্য বিভিন্ন অভিযোগগুলি অনুসন্ধান করে দেখা, এই কমিশনের কর্মকাণ্ডগুলির অন্যতম।

•   রাজ্য সরকারের দুর্নীতি বিরোধী ব্যবস্থাকে মজবুত করার লক্ষ্যে এই দফতরের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে একটি দুর্নীতি নিরোধক শাখার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে (০২ অগাস্ট ২০১২ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নং ৬৫৫ পি অ্যান্ড এ আর (ভিজ) দ্রষ্টব্য)।

•   পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভিন্ন কার্যাবলীর মসৃণ ও দ্রুত সম্পাদনের জন্য গণনাধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় থেকে পৃথগীকরণের মাধ্যমে ১ ডিসেম্বর ২০১১-য় সচিবালয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১টি দফতর পৃথকভাবে আহর্তা ও ব্যয়ন আধিকারিক (ডিডিও) লাভ করেছে। ১ এপ্রিল ২০১২ থেকে আরও ৩৪টি দফতরকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।

•   এই দফতরে ই-কার্যালয় ও ই-শাসন পদ্ধতি অগ্রণী ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। উন্নতমানের পরিচালন ব্যবস্থা, ‘সেবোত্তম’-এর রূপায়ণের জন্য প্রশাসনিক সংস্কার ও জন অভিযোগ বিভাগ, ভারত সরকার, উত্তর ২৪ পরগনাকে বাছাই করেছে।

•   ফিডার পদ্গুলি থেকে ডব্লিউবিসিএস (নির্বাহী) পদে পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গ ‘জন-পালন কৃত্যক (নির্বাহী) নিয়োগ বিধি, ১৯৭৮’ সংশোধন করা হয়েছে।

•   এখন থেকে ডব্লিউবিসিএস (নির্বাহী) আধিকারিকদের জ্যেষ্ঠতা শুধুমাত্র পিএসসি পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষার ফলের উপর নির্ভর করবে না। পদাভিষেকের স্তরে প্রশিক্ষণকালে আধিকারিকরা ২০০ নম্বরের মান নির্ধারণ প্রক্রিয়ার অন্তর্গত হবেন। চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করার সময় পিএসসি ও প্রাক-নিয়োগ প্রশিক্ষণকালীন পরীক্ষায় অর্জিত উভয় নম্বর বিচার্য হবে।

•   পশ্চিমবঙ্গের সফরে আগ্রহী পর্যটকদের সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রেসিডেন্ট কমিশনার ‘অনলাইন’ সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছে। তথ্য বিনিময়ের জন্য বঙ্গভবনে একটি গণমাধ্যম কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মুদ্রণ মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত যাবতীয় সংবাদ্গুলি সংগ্রহ ও বিভাগের উদ্দেশ্যে ‘মিডিয়া রিফ্লেকশন’ নামক একটি ‘ওয়েব পেজ’ তৈরি করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের জরুরি যোগাযোগ নম্বর (নিঃশুল্ক) ১৮০০-১১-৩৩০০ ।

•   ১১কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার অনুমিত ব্যয়ে ‘এটিআই’-র জন্য একটি নতুন বৃহৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও হস্টেল নির্মাণের পক্ষে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

•   দার্জিলিং, কোচবিহার ও হাওড়া জেলায় তিনটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

•   রাজ্য সরকারি মহিলা কর্মচারীদের সন্তান লালন-পালনের জন্য দু-বছরের ছুটির ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।

•   কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে রাজ্যের সচিবালয়কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে হাওড়ার নবান্ন-তে।

•   জলপাইগুড়ি জেলাকে ভেঙে ৬টি ব্লক নিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন জেলা আলিপুরদুয়ার।

•   পশ্চিমবঙ্গ স্টাফ সিলেকসন কমিশন চালু হয়েছে। এছাড়া চেয়ার পার্সন-এর বয়সের সীমা ৬২ থেকে ৬৫ তে বাড়ানো হয়েছে। WBBSSC এযাবৎকাল ৫টি নিয়োগের পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।

•   WBCS (Exe.) এবং অন্যান্য পরীক্ষার পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়েছে।

•   IAS আধিকারিকদের জন্য শুরু হয়েছে ‘SPARROW’

•   প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

•   ডব্লিউবিআইসি, প্রিন্সিপ্যাল রেসিডেন্ট কমিশনার, ডব্লিউবিএসএসসি-র দফতরগুলির পুণর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

•   ‘CCW’-র কর্মীদের পদোন্নতির কাজ প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে হচ্ছে। একইভাবে প্রতি মাসে ক্রমবিন্যাসের তালিকা সংযোজিত করা হচ্ছে।

•   গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদের কমন ক্যাডার-এর বিধির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

•   রেজিস্ট্রার থেকে শুরু করে ডব্লিউবিসিএস ক্যাডারদের এলডিই (লিমিটেড ডিপার্টমেন্টাল এক্সামিনেশন)-এর প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে।

•   প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এলডিসি এবং সহকারী সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

•   ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ),ডব্লিউবিএসএস এবং সিসিডব্লিউ-দের সার্ভিস রেকর্ড মনিটরিং সিস্টেম (এসআরএমএস)-এর তথ্য ভবিষ্যতে অনলাইনে পাওয়া যাবে। খুব তাড়াতাড়ি আইএএস আধিকারিকদের জন্য এই ব্যবস্থার উদ্বোধন হবে। এই তথ্যগুলির মধ্যে পাওয়া যাবে আধিকারিকদের ছুটির দরখাস্ত, ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব ইত্যাদি।

•   অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের-এর পেনশনের তথ্য এখন পুরোপুরি কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

•   বায়োমেট্রিক সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মীদের উপস্থিতির হিসাব রাখা শুরু হয়েছে ।

•   এনআইসি ও আইটি কর্মীদের, ডব্লিউবিসিএস সেল এবং সিসি উইং-এর সঙ্গে সংযোজিত করা হয়েছে যাতে নতুন জায়গায় নিয়োগ, বদলি ইত্যাদির যাবতীয় তথ্য তাড়াতাড়ি ও সুসংহতভাবে পাওয়া যায়।

•   অল ইন্ডিয়া সার্ভিস এবং স্টেট সার্ভিস আধিকারিকদের বিভাগীয় পরীক্ষার ইংরাজী ও বাংলা সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরীক্ষা হয় এটিআই-এর মাধ্যমে, যার উপরে থাকে রাজ্যের পিএসসি।