পঞ্চায়েত ও গ্রামন্নোয়ন
•   মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGS)

•   জব কার্ড ইস্যু

•   ২০১৩-১৪-য় যেখানে সারা ভারতে ১৩১.২৫ মিলিয়ন জবকার্ড প্রদান করা হয়েছে তারমধ্যে ৯ শতাংশ, ১১.৬৫ মিলিয়ন জবকার্ড ইস্যু করা হয়েছে এ রাজ্যেই। জবকার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এই রাজ্য চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।

•   পরিবারগুলির কর্মসংস্থান

•   এমআইএস প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে জব কার্ডধারী পরিবারগুলির কর্মসংস্থান সামান্য কমে ৪৭.১৩ মিলিয়ন দাঁড়ালেও পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.১৩ মিলিয়নে। দেশের মধ্যে কর্মসংস্থানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান তৃতীয়। ২০১২-১৩-য় যেখানে কর্মসংস্থানের হার ছিল ১২ শতাংশ, তা ২০১৩-১৪-য় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশ।

•   শ্রমদিবস বৃদ্ধি

•   এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের লক্ষ্য হল কর্মপ্রার্থী পরিবারগুলোর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল অ-দক্ষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শ্রমদিবসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ২০১১-১২-য় পশ্চিমবঙ্গের শ্রমদিবস বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ ( দেশের মধ্যে ষষ্ঠ )। ২০১২-১৩-য় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭৬ শতাংশ( দেশের মধ্যে চতুর্থ)। ২০১৩-১৪য় সারা ভারতের নিরিখে এ রাজ্যের শ্রমদিবস বৃদ্ধির হার পৌঁচেছে ১০.৪৭ শতাংশে( দেশের মধ্যে তৃতীয়।)।

•   যথাযোগ্য ব্যয়

•   প্রাপ্য কেন্দ্রীয় অনুদান না পাওয়ার কারণে ব্যয়ের নিরিখে ২০১৩-১৪-য় রাজ্য প্রবল অর্থনৈতিক অভাবের সম্মুখীন হয়। তবুও ২০১২-১৩র তুলনায় এই আর্থিক বর্ষে খরচের পরিমান (৩৭০২.৭৬ কোটি )। আমরা যদি সেই ঘাটতির ১৯০০ কোটি টাকা ২০১৩-১৪-র ব্যয়ের অর্থের সঙ্গে যোগ করি তাহলে সেই অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ৫৬১৪.৬৯ কোটি টাকা, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

•   প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনা

•   গত দু-তিন মাসে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার তহবিলে প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্রের থেকে ঠিকমত না পাওয়া সত্ত্বেও এই প্রকল্পের কাজ পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলেছে।

•   ২০১৩-১৪ আর্থিক বর্ষে পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের সাফল্যঃ

•   ______________________________________________________________

•   সম্পূর্ণ হয়েছে এমন রাস্তার : ৬১৩

•   সংখ্যা যত কিলোমিটার সম্পূর্ণ হয়েছে : ২৬৩১.৫৫

•   ব্যয়ের পরিমান (কোটি) : ১১৩০.৪৩

•   --------------------------------------------------------------

•   পয়লা এপ্রিল, ২০১৪-য় রূপায়ণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ৮৯৩ টি রাস্তা ( ৪১৮৫.০৬২ কি.মি)

•   ২০১৪-১৫ আর্থিক বর্ষের এপ্রিল পর্যন্ত পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের অগ্রগতি সারণীতে দেখান হল -

•   ______________________________________________________________

•   রাস্তার সংখ্যা : ১৫

•   যত কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ হয়েছে : ৬৪.৪২৭

•   ব্যয়ের পরিমান (কোটি) : ৯৮.৭২

•   -------------------------------------------------------------------------

•   দৈর্ঘের নিরিখে গত বছরের তুলনায় পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের অগ্রগতি ২.২ গুণ বেশি।

•   ব্যয়ের নিরিখে পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পের সাফল্য গত বছরের তুলনায় ২.৬১ গুণ বেশি।

•   পয়লা এপ্রিল, ২০১৪ পর্যন্ত মোট ৩৮৭৪.৮৮ কিলোমিটারের ৮০৮ টি রাস্তা অগ্রগতির বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। কমপক্ষে ৩০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ আগামী আর্থিক বর্ষের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে।

•   ইন্দিরা আবাস যোজনা

•   ২০১৩-১৪-য় এই প্রকল্পের খাতে জমা ছিল ২৫২.৬৬ কোটি টাকা। ২২৪৪৪৩টি বাড়ি তৈরি করতে এ বছরে নিশ্চিত করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থের ৮২৯.০০ কোটি টাকা এবং রাজ্যের ১৪৯.০০ কোটি টাকা। সুদ যোগ করলে এ বছর আমাদের মোট প্রাপ্য অর্থের পরিমান ১২৪২.০০ টাকা। যদিও ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাস নাগাদ বড় অঙ্কের টাকা না পাওয়া সত্ত্বেও ২০১৪-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রকল্প খাতে ৬০৭.০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং ১৬৯৯৭১ টি বাড়ি তৈরি হয়েছে।

•   সাফল্যের খতিয়ান

•   তিন বছর পর জিটিএ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য তহবিল মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

•   রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের তৎপরতায় ১৫ টি জেলার মধ্যে ১৪ টি জেলার জন্যই প্রাপ্য কেন্দ্রীয় তহবিলের দ্বিতীয় কিস্তি আদায় সম্ভব হয়েছে।

•   রাজ্য এখন এমজিএনআরইজিএস মডেলের আওতাধীন কম ব্যয়ে বিকল্প প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণের প্রক্রিয়ার উদভাবনের মধ্যে রয়েছে। এই বিষয়ে কল্যাণীর এসআইপিআরডি-তে ২০১৪-র ২৪-২৭ এপ্রিল একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

•   ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে নজরদারি চালাতে AWAASSoft নামক একটি এমআইএস পোর্টালের ব্যবহার করা হচ্ছে।

•   আনন্দধারা ( ডব্লিউএসআরএলএম)

•   এ পর্যন্ত ডব্লিউএসআরএলএম ৭৬ শতাংশ কর্মী নিয়োগ সম্পূর্ণ করেছে। নথিবদ্ধ ব্যয়ের পরিমান ৫২ শতাংশ এবং রিভল্ভিং ফান্ড / প্রগতি তহবিলের আওতায় ৪৬.১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর ফলে ৩৭০০০ স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। পরিষেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে সহজতর এবং দ্রূতগামী করতে রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব রেখেছে। আমরা এই প্রকল্পটির নামকরণ করেছি ‘আনন্দধারা’। ‘আনন্দধারা’ –র নিজস্ব লোগো আছে।

•   এনআরএলএম-এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০১৩-১৪-তে ৮৮৩৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ভারতের খুব কম সংখ্যক রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এমন এক রাজ্য যেখানে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী, উপসঙ্ঘ ( গ্রাম সংসদ পর্যায়ে স্ব- নির্ভর গোষ্ঠীর সমষ্টি, এবং সঙ্ঘর (গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে স্ব- নির্ভর গোষ্ঠীর সমষ্টি) মত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ পর্যন্ত রাজ্যে ২৬,৬৭৬ টি উপসঙ্ঘ (৮৪ টি এ বছর তৈরি হয়েছে) এবং ২৭০৪ টি সঙ্ঘ ( ১৭ টি এ বছর তৈরি হয়েছে) তৈরি হয়েছে। ডব্লিউবিএসআরএলএম এইচআর ম্যানুয়াল, ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল এবং ফিনান্সিয়াল ইনক্লিউশন ম্যানুয়াল প্রস্তুতির কাজ শেষ করেছে।

•   গত রিপোর্টে তালিকাভুক্ত কাজের বর্তমান অবস্থা -

•   ম্যানুয়াল প্রস্তুতি এবং নির্দেশিকা

•   বেশ কয়েক পর্যায়ে সংশোধনের পর কমিউনিটি অপারেশন ম্যানুয়াল (সিওএম) চূড়ান্ত হয়েছে।

•   ভারত সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দ্বারা প্রচারিত ম্যানুয়ালের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এইচআর ম্যানুয়াল তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

•   সঙ্ঘ এবং উপসঙ্ঘের গঠণ এবং নির্দেশিকা সমূহ

•   কমিউনিটি অপারেশন ম্যানুয়ালে চূড়ান্ত হয়েছে

•   প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন

•   রাজ্যস্তরের কর্মশালাগুলির মাধ্যমে মডিউল তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

•   বিপণন পরিকাঠামো

•   ‘আনন্দধারা’র আওতায় রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে বিপণন পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পণ্যসমূহকে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিমণ্ডল দেওয়াই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। ব্যবসায়িক যোগাযোগের বিভিন্ন দিকের ওপর প্রশিক্ষণ, পণ্যের গুণগত মান্নোনয়ণ এবং পণ্যের মূল্য সংযোজনের ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রেখেই এই বিপণন পরিকাঠামো গড়ে উঠছে। এই সব কিছু চালু এবং পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী সমূহ। বিভিন্ন পর্যায়ে হাট গঠণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে -

•   রাজ্য হাট

•   রাজ্যপর্যায়ে একটি রাজ্যহাট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই হাট ঢাকুরিয়ার মধুসূদন মঞ্চ সংলগ্ন ৭৭৬ বর্গফুট এলাকা নিয়ে তৈরি হবে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭.৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

•   জেলা হাট

•   প্রত্যেক জেলায় একটি করে সুপরিকল্পিত কর্মতীর্থ( মার্কেটিং সেন্টার ) তৈরি করা হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জেলা প্রশাসনগুলিকে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একেকটি জেলায় হাট তৈরির জন্য প্রায় ১.৭৫ কোটি টাকা এবং প্রায় ১৫ কাঠা জমি ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ টি জেলায় হাট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

•   ব্লক হাট

•   গ্রামীণ হাট তৈরির জন্য ১০১ টি ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ টি ব্লকে ইতিমধ্যেই হাট নির্মাণের কাজ চলছে অথবা শেষ হয়েছে। বাকি ৫৬টি ব্লকে হাট তৈরির জন্য জমি শনাক্ত করা হয়েছে।

•   আর্বান হাট

•   রাজারহাট এলাকায় একটি আর্বান হাট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য প্রস্তাবনাও তৈরি করা হয়েছে। নগরোন্নয়ণ দপ্তরের থেকে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

•   অনগ্রসর অঞ্চলের অনুদান তহবিল (বিআরজিএফ)

•   একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব মেদিনীপুর-এই এগারোটা জেলায় বিআরজিএফ বাস্তবায়িত হয়েছে।

•   ২০১৩-১৪-য় প্রাপ্ত তহবিলের ২৬৪.৬৭ কোটির মধ্যে ৩১.০৩. ১৪ তারিখ পর্যন্ত ১৯৪.৮৪ কোটি টাকা (৭৩.৬%)কাজে লাগানো হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে কাজের অগ্রগতি আংশিকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

•   কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রক কর্তৃক ক্রমযোজিত হারে প্রাপ্ত তহবিলের ৯৪.৮২% ফান্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

•   গত বছরের অবশিষ্ট কাজ চলছে। ৩১.০৩.১৪ তারিখে ২৪৩০৯টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। ২০১২-১৩-য় ২২৬৫৬টি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।

•   বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর ক্রিটিকাল গ্যাপ পূরনের জন্য বিআরজিএফ তহবিল ব্যবহার করা হয়। বিআরজিএফ গৃহীত প্রকল্পগুলির মধ্যে কয়েকটি হল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রসমূহ, গ্রামপঞ্চায়েতের পরিকাঠামো, ছোট জনবসতিতে সকল আবহাওয়া উপযোগী রাস্তা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জল, মার্কেট কমপ্লেক্স, কালভার্ট, সম্পূরক পুষ্টি, গার্ডওয়াল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য আসবাবপত্র ইত্যাদি। পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে নজরে রেখে ‘কোর’ এবং ‘পেরিফেরি’- এই দুই প্রকরণে ভাগ করে বিআরজিএফ-কে পুনর্গঠণের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত সরকার। বিআরজিএফ-এর জন্য নতুন নির্দেশিকা চূড়ান্ত হতে চলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি- মাত্র এই পাঁচটি জেলাকে ‘কোর জেলা’ হিসাবে চিহ্নিত করে জেলাগুলির সামগ্রিক অংশজুড়ে এই কর্মকাণ্ড অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বাকি ৬ টি জেলার কয়েকটি ব্লককে পেরিফেরি জেলা হিসেবে চিহ্নিত করে কর্মকাণ্ড প্রস্তাবিত হয়েছে। কোচবিহারকে পেরিফেরি ডিস্ট্রিক্ট-এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রচলিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গী পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রককে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত ২০১৪-১৫-র নির্দেশিকা অনুসরণ করেই কাজ চলবে।

•   সেন্ট্রাল ফিনান্স কমিশন গ্রান্ট

•   ১৩ তম ফিনান্স কমিশনের লক্ষ্য হল অফিস বিল্ডিং ও আইইসি-র মাধ্যমে ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ। পঞ্চায়েতের দায়বদ্ধতা আছে এমন বিষয়গুলির উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। যেমন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, এসএসকে, এমএসকে, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র, রাস্তা, হাট, বাজার, , পিকনিক স্পট অথবা পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, বাগান, খেলার মাঠ, স্বাভাবিকভাবে জনসমাবেশ হয় এমন জায়গা ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

•   স্ট্যাটাস রিপোর্ট

•   এ পর্যন্ত যে তহবিল পাওয়া গেছে (ক্রম যোজিত হারে)- : ১৩৪৩৩২.৪৪ লক্ষ

•   মোট তহবিল বিতরণ( ডিসবার্সড)- : ১৩৪৩৩২.৪৪ লক্ষ

•   বিতরণের শতাংশ- : ১০০%

•   রাজ্য অর্থ কমিশন গ্রান্ট

•   অর্থনীতিকে দ্রুতগামী করতে এবং সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ এলাকায় নতুন সম্পদ সৃষ্টি করাই এই অনুদানের (গ্রান্ট)উদ্দেশ্য।

•   স্ট্যাটাস রিপোর্ট

•   এ পর্যন্ত যে তহবিল পাওয়া গেছে (ক্রম যোজিত হারে)- ১৫৭২৫১.১০ লক্ষ

•   মোট তহবিল বিতরণ( ডিসবার্সড)- ১৫৭২৫১.১০ লক্ষ

•   বিতরণের শতাংশ- ১০০%

•   গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ

•   গ্রামপঞ্চায়েতগুলির প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ( আইএসজিপি) প্রকল্পটি বিশ্বব্যাঙ্ক দ্বারা সমর্থিত। রাজ্যের গ্রামীণ নাগরিকদের চাহিদার দিকে নজর রেখে গ্রামপঞ্চায়েতকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলে পরিষেবা প্রদানের মানোন্নয়নই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

•   পশ্চিমবঙ্গের ৯ টি জেলায় ১০০০টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় প্রকল্পটির কাজ চলছে। এর মধ্যে কোচবিহারের ৭৬, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৩৯, বীরভূমের ৯৯, নদীয়ার ১১১, বর্ধমানের ১৬৫, বাঁকুড়ার ১১৩, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৭২, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৩২ এবং হাওড়ার ৯৩টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। ২৩৫ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের ২০০ মিলিয়ন ডলার আইডিএ ঋণ এবং বাকি ৩৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে রাজ্যের কাছ থেকে। ২০১৪-র মার্চ পর্যন্ত আইডিএ ঋণ প্রদত্ত হয়েছে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার এবং বাকি ৫৬.০০ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে।

•   ২০১০ এর ৩ রা সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২০১৫-র ৩১ শে ডিসেম্বর।

•   প্রকল্পের উপাদান অনুগ অগ্রগতি

•   বার্ষিক কর্মকুশলতার ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় পরিষেবা প্রদান এবং জনকল্যাণের জন্য ২০১০-১১-য় যোগ্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে আনটায়েড গ্রান্ট( ব্লক গ্রান্ট ) দিয়েছে রাজ্যসরকার। ২০১৩-য় ৬০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে তহবিল প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ২০২.৮৫ কোটি টাকার তহবিল দেওয়া হয়েছে ৭৯২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে। ২০১৪-য় বিশ্বব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে তহবিল মঞ্জুর করা। এবারও রাজ্যসরকারের উদ্যোগে, সেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২০১৪-র মে মাস পর্যন্ত ৯৬০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ২৯৪.০৮ কোটি টাকার তহবিল মঞ্জুরের কাজ সম্ভব হয়েছে।

•   অর্থনৈতিক অগ্রগতি

•   ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া গেছে ৮৫৭.৬৬ কোটি টাকা। ২২ শে মে, ২০১৪ পর্যন্ত কাজে লাগানো হয়েছে ৮৪৩.৫৯ কোটি টাকা।

•   নির্মল ভারত অভিযান ( এনবিএ)

•   নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পের আওতায় ২০১৪-র ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত আমরা ৬০৮২১৮ টি ব্যক্তিগত শৌচালয় , ৮৫০০ টি স্কুল শৌচালয় ব্লক এবং অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রসমূহে ৫৪৭২ টি শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছি।

•   ২০১৭ সালের মধ্যে ‘নির্মল বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০০ দিনের কাজকে যুক্ত করে চিহ্নিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্মল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।

•   ১৮.০২.২০১৪-তে রবীন্দ্রসদনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপদ পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান সপ্তাহ, ২০১৪ পালন কর্মসূচির সূচনা হয়।

•   ১৯.০২.২০১৪ থেকে ২১.০২.২০১৪ পর্যন্ত জেলাস্তরের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ২০.০২.২০১৪-তে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ২০১৭-র মার্চের মধ্যে ‘নির্মল’ করার শপথ নেয়। ২২.০২.২০১৪ থেকে ২৭.০২.২০১৪ প্রতিটি ব্লকে গ্রামীন মেলার মধ্যে দিয়ে আইইসি কর্মসূচিতে দ্রুততা এসেছে।

•   বিভিন্ন আইইসি উদ্যোগের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ স্থাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

•   জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প (এনএসএপি)

•   ১) সূচনা - জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প হল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত একটি কল্যাণমূলক কর্মসূচি। গ্রামাঞ্চলগুলির পাশাপাশি শহরাঞ্চলগুলিতেও এই প্রকল্পটি চালু আছে। ভারত সরকার ১৯৯৫ সালের ১৫ অগাস্ট এনএসএপি-কে কেন্দ্রীয় বাজেট ১৯৯৫-৯৬-এর অন্তর্ভুক্ত করে। বর্তমানে এনএসএপি-র অধীনে ৫টি উপ-প্রকল্প চালু আছে-

•   ক) ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প

•   খ) ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বিধবা ভাতা প্রকল্প

•   গ) ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ভাতা প্রকল্প

•   ঘ) জাতীয় পরিবার কল্যাণ প্রকল্প

•   ঙ) অন্নপূর্ণা প্রকল্প (খাদ্য ও সরবরাহ দফতর পরিচালিত)

•   বর্তমান অবস্থা-

•   ক) ২০১৪-এর ফেব্রুয়ারিতে ৩.৫ লক্ষ লোককে নতুন উপভোক্তা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ২০১৪-এর এপ্রিল মাস থেকে পেনশন পাওয়ার যোগ্য।

•   খ) ১৯.২ লক্ষ সুবিধাভোগী ২০১৪-এর মার্চ পর্যন্ত পেনশন পেয়েছেন এবং ২০১৪-এর মে পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

•   গ) আরও নতুন উপভোক্তা সনাক্ত করতে সেবা (SEBA) সফটওয়্যারের নতুন সংকলনের সূচনা করা হয়েছে ২০১৪-এর ফেব্রুয়ারিতে। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে দার্জিলিং ছাড়া অন্যান্য সকল জেলা থেকে সুবিধাভোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

•   ঘ) নতুন সুবিধাভোগীদের আবেদন সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

•   ঙ) কোচবিহার ও হাওড়া জেলায় CPSMS-এর মাধ্যমে সরাসরি সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করা হয়েছে।

•   এনএসএপি-এর স্ট্যাটাস রিপোর্ট (২০১৪-এর মার্চ পর্যন্ত)

•   এযাবৎ প্রাপ্ত মোট তহবিল (চলতি আর্থিক বর্ষে)- ২০৯৭২৮.৭৫১ লক্ষ

•   অনুদান ছাড়া হয়েছে – ১৬৬৯৪৩.৭৪৩ লক্ষ

•   অনুদান ছাড়ার পরিমাণ শতাংশে – ৭৯.৬০ শতাংশ

•   ২০১৪-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেনশন ছাড়া হয়েছে ।

•   জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প (পরিবার কল্যাণ প্রকল্প)

•   স্ট্যাটাস রিপোর্ট-

•   এযাবৎ তহবিল প্রাপ্ত হয়েছে (চলতি আর্থিক বর্ষে) – ৮৬১৪.৬৬ লক্ষ

•   অনুদান ছাড়া হয়েছে - ৮৬১৪.৬৬ লক্ষ

•   অনুদান ছাড়ার পরিমাণ শতাংশে – ১০০ শতাংশ

•   আম আদমি বিমা যোজনা

•   ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের (যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছর এবং নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫০ ডেসিম্যালের কম) জন্য এটি একটি বিমা প্রকল্প। যোগ্য প্রার্থীদের প্রিমিয়াম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভারতীয় জীবন বিমা নিগমকে রাজ্য সরকার প্রতি বছর মাথাপিছু ২০০ টাকা প্রিমিয়াম দিচ্ছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দেয় কিস্তির পরিমাণ সমান।

•   অতিরিক্ত সুবিধা

•   এই প্রকল্পে নথিভুক্ত উপভোক্তার সন্তানেরা (সর্বাধিক ২ জন) যারা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত, তারা প্রত্যেকে মাসিক ১০০ টাকা করে বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য।

•   স্ট্যাটাস রিপোর্ট

•   মোট নথিভুক্ত উপভোক্তার সংখ্যা – ৮,৪৪,৭৪৪ জন

•   ২০১৩-১৪ তে বিমার টাকা পেয়েছেন – ৩৩২ জন

•   এলআইসি বিমার টাকা দিয়েছে – ১৬০ জনকে

•   ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিআরওএফএলএএল)

•   ভূমিহীন কৃষিশ্রমিকদের জন্য এটি একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছর এবং নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫০ ডেসিম্যালের কম। উপভোক্তাকে মাসিক ২০ টাকা জমা করতে হবে। রাজ্য সরকার সমপরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে উপভোক্তার নামে জমা করবে। উপভোক্তার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে তাঁর নিজের ও রাজ্য সরকারের মোট জমা করা অর্থ তাঁকে সুদসমেত ফেরত দেওয়া হবে।

•   স্ট্যাটাস রিপোর্ট

•   মোট নথিভুক্ত উপভোক্তার সংখ্যা – ১২,৯৮,৬৩৩ জন

•   ২০১৩ – ১৪ তে বিমার টাকা পেয়েছেন – ৩৫৪০ জন

•   পিআরআই –এর কম্পিউটারাইজেশন

•   ১. বর্তমান অবস্থা – জিপিএমএস, আইএফএমএস

•   ক) দার্জিলিং –এর পার্বত্য অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ছাড়া ৩২৩৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত জিপিএমএস চালু করা হয়েছে।

•   খ) ৩২৩৮টি জিপি-র মধ্যে ২৬৫৯টি জিপি-তে রিয়েল টাইম বেসিসে জিপিএমএস ব্যবহৃত হচ্ছে।

•   গ) সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইটে নথি এবং হিসাব নিয়মিতভাবে আপলোড করা হচ্ছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২৬৫৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাসিক হিসাবপত্র আর্থিক বিশ্লেষণসহ সরাসরি পরিদর্শন করা হচ্ছে।

•   ঘ) জিপিএমএস-এর সাহায্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বিভিন্ন পরিষেবামূলক কাজ করছে যেমন, জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য শংসাপত্র দেওয়া ইত্যাদি।

•   ঙ) সকল পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদগুলির অর্থনৈতিক হিসাব পরিচালনার জন্য আইএফএমএস সফটওয়্যার চালু করা হচ্ছে। সবকটি জেলা পরিষদ এবং ২৮০ টি পঞ্চায়েত সমিতি নিয়মিতভাবে প্রতি মাসের আর্থিক বিশ্লেষণ (২৭নং ফর্ম) আপলোড করা হচ্ছে, সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে।

•   চ) সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত-এর স্ট্যাটাস যে কেউ দেখতে পাবেন www.wbprdgpms.in – এই ওয়েবসাইটে গিয়ে।

•   ছ) পূর্ণ উদ্যমে চলছে জিপিএমএস-এর নতুন অনলাইন সংকলনের কাজ। সার্ভিস ডেলিভারি মডিউল-এর সূচনা করা হয়েছে। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পরীক্ষামূলকভাবে মডিউলটির প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। ২০১৪-এর ১ এপ্রিল থেকে আরও ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই মডিউলটির ব্যবহার পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ তে এই মডিউল রাজ্যের সর্বত্র কার্যকরী হবে।

•   জ) ইতিমধ্যেই একটি ব্রিজ সফটওয়্যার (জিপিএমএস এবং প্রিয়াসফট-এর মধ্যে) তৈরি করা হয়েছে এবং বর্তমানে ৯০৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত GPMS হতে xmls তৈরি করে PRIASOFT–এ আপলোড করেছে এর ফলে ন্যাশন্যাল অ্যাকাউন্ট কোডসহ সমস্ত ভাউচার দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ।

•   ২. বর্তমান অবস্থা- পঞ্চায়েতি উদ্যোগ গ্রহণ

•   ভারত সরকারের পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক পঞ্চায়েত এন্টারপ্রাইজ স্যুইট-এর ছত্রছায়ায় ১২টি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের একটি সেট তৈরি করেছে। আমাদের রাজ্য ইতিমধ্যেই স্থানীয় সরকারি ডাইরেক্টরিতে তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে। আমরা প্ল্যানপ্লাস, অ্যাকশন সফট এবং জাতীয় পঞ্চায়েত পোর্টাল ব্যবহার করছি। ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারিতে এই দফতরের উদ্যোগে মডেল অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের উপর একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ডেপুটি সিএজি, পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, পরিকল্পনা উন্নয়ন বিভাগের রিজিওনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, এ ছাড়া দিল্লী ও কোলকাতার আকাউন্টস জেনারেলের প্রতিনিধিরা ও ১৬টি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্ন্যয়ন দফতরের আধিকারিকরা। ২০১৪-এর ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘ই-পঞ্চায়েত’এর উপর একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, ঝাড়খন্ড, বিহার, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশসহ ১৬টি রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

•   ৩. অন্যান্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন

•   ‘রুরাল হাউজহোল্ড সার্ভে সফটওয়্যার’ এবং ‘সেবা’ (পেনশনের জন্য সফটয়ার)-এর অনলাইন সংকলনের উন্নতির কাজ শুরু হয়েছে।

•   ৪. সরকারি ওয়েবসাইটের উন্নয়ন

•   সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি এবং আপডেট করা হয়েছে। ISGPP প্রকল্প ও ফান্ড রিলিজের মডিউল-এর জন্য অনলাইন রিপোর্টিং-এর সুবিধাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

•   আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীগত জনগণনা (Socio Economic Caste Census)

•   ১. বর্তমান অবস্থা-

•   ক) হাওড়া,বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা ও কোলকাতা ছাড়া সব জেলায় খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

•   খ) ক্লেইমস অবজেকশন ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে (সিওটিএস) দাবি ও প্রতিবাদ লিপিবদ্ধ করার কাজ চলছে। কলকাতা বাদ দিয়ে অন্যান্য জেলার তথ্য (ডাটা ফাইল)কেন্দ্রিয় গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে পাওয়া গেছে।

•   গ) এনএফএসএ পলিসির বিশ্লেষণ ও কাঠামো তৈরির জন্য কেন্দ্রিয় গ্রামোন্নয়ন দফতর SECC এর তথ্য দিয়েছে।

•   শিশুশিক্ষা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মসূচি

•   ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।

•   আগামী শিক্ষাবর্ষের(২০১৫) শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়ে।

•   জেলাগুলিকে ১৬২টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ তৈরি করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৯১.৯০৫ লক্ষ টাকা।

•   জেলাগুলিকে ১০২টি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ তৈরি করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১৫.৭৬৫ লক্ষ।

•   ১২৮৭৭১৪ শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের স্কুলের পোশাক বাবদ ৫১৫০.৮৫৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

•   ৩৭৮২৪৭ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের স্কুলের পোশাক বাবদ ১৫১২.৯৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

•   ১৬০৯৮টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জন্য ৮০৪.৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে

•   ১৯১৮টি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য ১৩৪.২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে

•   ১৬০৯৮ টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া হয়েছে ৮৮২.৬৫ লক্ষ টাকা

•   ১৯১৮ টি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৬২.৬০ লক্ষ টাকা

•   ৩০৬৩০৭ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৬৬.৯১৪৫৭ লক্ষ টাকা

•   তপশিলি জাতি/জনজাতিভুক্ত ১৫৭৯১২ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ২৫০.৫৩৬৪ লক্ষ টাকা

•   ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন

•   এই সংস্থা একটি সরকার অধীনস্থ সংবিধিবদ্ধ স্বশাসিত সংস্থা। ১৯৭৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। দক্ষিণ ২৪পরগণা ও দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়া রাজ্যের বাকী জেলাগুলি জুড়ে ২১টি বিজ্ঞাপিত প্রকল্প ও একটি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এই নিগমটির অধীনস্থ।

•   ২০১৩-১৪তে ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন- এর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব

•   ক) বহুমুখী বীজ প্রকল্প

•   ধান, ডাল ও তৈলবীজ, ভুট্টা, গম, সবজি ইত্যাদির উচ্চমানের বীজ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নিগম। ২০১২-১৩-তে মোট ১৫০০ মেট্রিক টন শংসাপ্রাপ্ত বীজ উৎপাদন হয়েছে যেখানে, ২০১৩-১৪-র ৩১.৩.১৪ পর্যন্ত উৎপাদন ২৮০০ মেট্রিক টন।

•   খ) পশুপালন

•   ২০১৩-১৪তে পুরুলিয়ার অনগ্রসর গ্রামগুলিতে খাদ্য সরবরাহের জন্য সহরজোরে প্রকল্পে প্রায় ১৫০টি শূকর পালনের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শূকর প্রতিপালন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কোচবিহারের বলরামপুরএর হ্যাচারি ইউনিটটির সংস্কার ও এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির চা বাগান সংলগ্ন অনগ্রসর গ্রামগুলিতে শূকরছানা, হাঁসমুরগি, ছাগল বিতরণের মাধ্যমে প্রানিসম্পদ উন্নয়নের এক বিপুল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

•   গ) কুমারী কানন প্রকল্পের পুণরুজ্জীবন

•   অযোধ্যা পাহাড় প্রকল্পের অধীনে ‘কুমারী কানন’-এর সার্বিক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পালক থেকে শুরু করে মূল বীজ এবং তার থেকে certified ধান( ৮৩ মেট্রিক টন) ডালশস্য ও তৈলবীজের বহুলীকরণ, মৎস্য চাষ, উদ্যানপালন, ফুলের চাষ, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাণীসম্পদের উন্নয়ন শুরু হয়েছে । এই বছর রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক অযোধ্যা পাহাড় ভ্রমণ করেছেন। ‘মালবিকা’ ও ‘নীহারিকা’ এই দুই অতিথি আবাসের মানোন্নয়ন করা হয়েছে। ২০১১-১২ তে মোট ১,১৮,৬৮০ টাকা, ২০১২-১৩ তে ৬,৭০,৭৭৯ টাকা এবং ২০১৩-১৪-এর ৩১.৩.১৪ পর্যন্ত ২৫,৭০,০০০ টাকা রাজস্ব এসেছে।