মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
যারা শুধু নিজেদের স্বার্থেই এ পৃথিবীতে জন্মায়, তারা বড় স্বার্থপর। এ পৃথিবী শুধু নিজের স্বার্থে নয়, সবার স্বার্থে।
জীবনটা খুব দামী, আসে আর চলে যায়। তাই জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই আমাদের ঠিকমতো সদ্‌ব্যবহার করতে হবে।
বিশ্বাসী বন্ধুকে আঘাত করতে নেই। বিশ্বাসী বন্ধুকে সসম্মানে মর্যাদা দিয়ে আগলে রাখতে হয়।
হিংসা হচ্ছে আমাদের বড় শত্রু। হিংসা আমাদের কাজ করার প্রবণতাকে ধ্বংস করে দেয়। হিংসাকে পরিহার করুন, বর্জন করুন, নিজেকে ভালো রাখুন।
কাজ পবিত্র। আমাদের যে যেখানেই কাজ করি না কেন, আমাদের কর্মস্থল কিন্তু আমাদের পবিত্র দেবালয়। ঘর যেমন আমাদের আশ্রয়, কর্মস্থলও হচ্ছে আমাদের জীবন ও জীবিকার বড় আশ্রয়। তাই ঘরের মত করেই কর্মস্থলকে ভালোবেসে মন দিয়ে কাজ করা উচিত।
নেতিবাচক চিন্তাধারা হচ্ছে হতাশ মনের পরিচয়, আর হতাশাগ্রস্ত মনোভাব মনকে অসুস্থ করে। তাই নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে দূরে থাকা উচিত।
আগে সংবাদমাধ্যমের প্রতিটা কথা মানুষ বিশ্বাস করতেন, তার কারণ তখন সংবাদমাধ্যম ছিল মানুষের কথা বলার জন্য। আর এখন সংবাদমাধ্যমের বড় বড় মাধ্যমগুলো চলে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে। তাই মানুষ আর বিশ্বাস করেন না।
জীবনের সবচেয়ে স্থায়ী সম্পদ হচ্ছে, যার যার নিজস্ব জীবনে তার মানবিক শক্তি ও সদিচ্ছা।
স্বার্থের সাথে কোনও বোঝাপড়া নয়, স্বার্থ এক স্বার্থান্বেষী বিষময় ফল।
অন্যের ক্ষতি চিন্তা না করে নিজের কাজে এগিয়ে যান। কারও ক্ষতি করে সময় নষ্ট করলে, ভালো কাজ করার সময় চলে যাবে যে!
ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কার জীবনের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই অসুখ থেকে মুক্তি পাবার ওষুধ হচ্ছে এর থেকে বিরত থাকা। না হলে পতন হবেই।
ছোটবেলা থেকেই, জোর করে চাপিয়ে দিয়ে নয়; শিক্ষার সাথে সাথে – মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে – বৃহত্তর জীবনে যাবার আগে নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি মনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য হালকা খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক চর্চা, শরীর সুস্থ রাখা, ভালো বই পড়া, নির্ভীক ও সৎ তৈরি হবার জন্য উপযুক্ত মনীষীদের জীবনী পড়া উচিত। এতে ভালো চিন্তাধারার জন্ম নেয়।
দারিদ্র আমাদের পাপ নয়। দরিদ্র অবস্থা থেকে পরিশ্রম করে জীবনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর নামই চ্যালেঞ্জ।
কুৎসা ও অপপ্রচার দুর্বলতার লক্ষণ।
সু-শিক্ষা মানুষকে সামাজিক সমাজচেতনা সম্পর্কে দায়িত্বশীল করে তোলে । আর কু-শিক্ষা সমাজ ও জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সম্মান করতে শেখা ও সম্মান জানানো দুটোই আমাদের জীবনের জাতীয় ঐতিহ্য। সম্মানীয় ব্যক্তিদের সম্মান জানানো আমাদের পবিত্র কর্তব্য ।
সু-শিক্ষা সামাজিক দায়বদ্ধতাকে বাড়িয়ে মানুষের মতো মানুষ তৈরি করতে সাহায্য করে ।
ধর্ম মানে মনুষ্যত্বের পূর্ণ প্রকাশ, ধর্ম মানে মানবিকতা, ধর্ম মানে যুক্তি, ধর্ম মানে কুসংস্কার নয় ।
সব কাজ সবাই করতে পারে না, একথা সত্যি । কিন্তু যে কোনও ক্ষুদ্র অথচ ভালো কাজকে সম্মান জানানো উচিত ।
আসুন, তৈরি করি আমরা এক আদর্শ যুব -সমাজ, যারা পরের জন্য নিজেদের জীবন বাজি রেখেও কাজ করবে ।
হতাশা নয়, আশা আপনার জীবনের স্বপ্ন । হতাশা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অন্ধকার। তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
সমস্যা জীবনে আসবেই । সমস্যা আছে বলেই তো সমাধান শব্দটার সৃষ্টি । সমস্যাকে সমাধান করে এগিয়ে যাবার নামই সার্থক জীবন ।
রাজনীতি বা ধর্মনীতি বা কর্মনীতি – সব কিছুই স্বচ্ছতার সাথে করা দরকার। শুধুমাত্র রাজনীতির কারণে ধর্মকে বেছে নেওয়া ঠিক নয় যেমন, তেমনি কর্মনীতিতেও কাজ না করে শুধু ধর্মের নামে রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে নিন্দের স্বার্থ চরিতার্থ করাও অন্যায় অপরাধ।
গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া – এ আমাদের পবিত্র কর্তব্য। প্রত্যেককে কিছু কিছু দরিদ্র মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে হয়।
মানুষের যা সম্পদ আছে, তা আমাদের জীবনের বড় সম্পদ। মানুষের বুদ্ধি-মেধা-কর্মক্ষমতা যে কোনও বাইরের অর্থ-সম্পদের থেকেও বড় সম্পদ।
মাথা উঁচু করে চলুন। সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটুন। ভবিষ্যতের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখুন। ভবিষ্যতে সুফল পাবেন।
শুধু পেতে চাওয়া জীবন নয়। ক্ষমতা ছাড়তে চাইতে জানতে হয়।
দরিদ্র হয়ে জন্মানো অপরাধ নয়। কিন্তু দরিদ্রতা বেচে সুখলাভ অপরাধ।
লোভ যত বাড়ে, অসাধু হাতছানি তত বাড়ে। লোভ সম্বরণ না করলে যে কোনও বিপদ আপনাকে ফাঁদে ফেলতে পারে। তাই লোভের ফাঁদে পা না দেওয়া উচিত।
লোভ ক্ষণিকের সম্পদ হয়ে আসে। আসে, কিন্তু তা সব মর্যাদাকে ধুলোতে মিশিয়ে দিয়ে অবক্ষয়ের পথে নিয়ে যায়।
জঙ্গলের সবুজ শরীর ও মনকে ভালো রাখে। তবে সেই জঙ্গলকে শোষণ করবে কেন?
অধিকার অর্জন করতে হয়। আবার সেই অধিকারকে অপব্যবহার করা নয়, সম্মান জানাতে হয়।
সবুজ বাঁচাও, সবুজ জাগাও। সবুজের মধ্যেই জীবন জীবনের পরিপূর্ণতা লাভ করে। সবুজের নাম স্বচ্ছতা। সবুজ, সবুজ মনের বিশ্বাসযোগ্যতা।