মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল

চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা

শর্তাবলী

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাওয়ার শর্তাবলী :

• আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে

• সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে অসমর্থ রোগী/রোগীর পরিবার

• যে সব রোগী ইএসআই (Employees State Insurance Scheme) বা অন্য কোনও বিমা প্রকল্পের তালিকাভুক্ত নন বা যারা চাকুরীদাতার বা সংস্থা থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা পান না

• রোগীর বার্ষিক পারিবারিক আয় অনধিক ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে হবে

• আবেদনকারী বা রোগী যে কোন আর্থিক বর্ষে একই চিকিৎসার জন্য কেবলমাত্র একবারই এই আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন

 আবেদন করার নিয়মাবলী

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যারা চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে চান, তারা নিম্নলিখিত ঠিকানায় প্রয়োজনীয় নথি সমেত আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্রটি স্বাক্ষরিত বা বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠির ছাপযুক্ত হতে হবে।

সহ সচিব,

মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর,

‘নবান্ন’

৩২৫, শরৎ চ্যাটার্জী রোড

হাওড়া – ৭১১১০২

 প্রয়োজনীয় নথি

 আবেদনপত্র

• যে চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী চিকিৎসাধীন , সেই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিকিৎসার সম্ভাব্য/ প্রকৃত ব্যয় , অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ সমেত সমস্ত নথি পেশ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদনপত্র জমা পড়ার আগের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনুদান পাওয়া যাবে না।

 • জেলা শাসক/মহকুমা শাসক/ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক/জয়েন্ট বি.ডি.ও, পুরসভার ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ অফিসার, কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার দ্বারা অনুমোদিত আবেদনকারীর পারিবারিক মাসিক আয়ের শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের লেটারহেডে দিতে হবে।

 • আবেদনকারী কোনও আর্থিক সহায়তা বা চাকুরীদাতার থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন সাহায্য পেয়ে থাকেন বা না থাকেন , উভয় ক্ষেত্রেই চিকিৎসা ভাতা সংক্রান্ত শংসাপত্র জমা দিতে হবে।

 • একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির (সাংসদ/বিধায়ক) সুপারিশ।

 • কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে (রক্তের সম্পর্ক নেই এমন দাতার ক্ষেত্রে) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দফতর, সল্টলেক, কলকাতা কর্তৃক নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা (রক্তের সম্পর্কযুক্ত দাতার ক্ষেত্রে) ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বীকৃতিপত্র ( আসল/প্রত্যয়িত) জমা দিতে হবে।

 • মোবাইল নম্বরসহ পুরো ঠিকানা।

সকল নথির ফটো কপি, ন্যূনতম গ্রুপ-এ-র সরকারি আধিকারিক দ্বারা যাচাই হওয়া প্রয়োজন।

 অনুমোদন ও প্রদান

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়া :

• আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদনপত্রটি প্রথম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সিএমআরএফ সেল বা ফান্ড সেল -এ পর্যালোচনা ও যাচাই করা হয়। আবেদনপত্রটি প্রয়োজনে পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক এবং কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠানো হতে পারে। সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসার ব্যয় আংশিক বহন করার চূড়ান্ত অনুমোদন দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই আর্থিক সাহায্য এক বৎসরে শুধুমাত্র একবারের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত, অনুমোদিত অর্থ সরাসরি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই আর্থিক অনুমোদন শর্তাধীন, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ কোনও রকম কারণ প্রদর্শন ছাড়াই পূর্বের অনুমোদন বাতিল করার অধিকার রাখেন।

যোগাযোগ

অনুসন্ধান ও মতামত প্রদান করতে যোগাযোগ করুন :

দূরাভাষ : : (০৩৩) ২২৫৩ ৫২৭৮

 

উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা

শর্তাবলী

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য সাহায্য পাওয়ার শর্তাবলী :

• আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

• এ রাজ্যের শিক্ষা পর্ষদ/শিক্ষা সংসদের অনুমোদিত যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর, রাজ্য সরকারের অনুমোদিত মহাবিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারেন।

• আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বমোট ৫০% বা তার উর্দ্ধে এবং ৬০%-এর নিম্নে নম্বর পেতে হবে (উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য) বা উচ্চ মাধমিক পরীক্ষায় সর্বমোট ৫০% বা তার উর্দ্ধে এবং ৬০%-এর নিম্নে নম্বর পেতে হবে (স্নাতক স্তরের জন্য) বা স্নাতকস্তরে সর্বমোট ৫০% বা তার উর্দ্ধে এবং ৫৩%-এর নিম্নে নম্বর পেতে হবে সাম্মানিক বিষয়ে (স্নাতকোত্তর স্তরের জন্য)।

• আবেদনকারী পঠনপাঠনের জন্য বিগত শিক্ষাবর্ষে যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কোন ধরনের বৃত্তি বা ভাতা ইতিমধ্যেই পেয়ে থাকেন, তাহলে আবেদনটি বিবেচনাধীন হবে না।

• আবেদনকারীর বার্ষিক পারিবারিক আয় অনধিক ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে হবে

 আবেদন করার নিয়মাবলী

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে চান, তারা নিম্নলিখিত নথি সমেত আবেদন করবেন এই ঠিকানায় :

সহ সচিব,

মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর,

'নবান্ন'

৩২৫, শরৎ চ্যাটার্জী রোড

হাওড়া-৭১১১০২

উচ্চ শিক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে নিম্নলিখিত নথিসহ আবেদন করুন

১. পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলির উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র ও মার্কশিটের ফটো কপি।

 ২.‍ র‌্যাঙ্ক কার্ড ও সিলেকশন কমিটির দ্বারা অনুমোদন পত্রের ফটো কপি (শুধুমাত্র জয়েন্ট এনট্রান্স বা সমতুল্য পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য)।

 ৩. জেলা শাসক/মহকুমা শাসক/ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক/গ্রুপ-এ-র সরকারি আধিকারিক (অন্ততপক্ষে জয়েন্ট বি.ডি.ও, পুরসভার ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ অফিসার, কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার) দ্বারা অনুমোদিত আবেদনকারী ছাত্র/ছাত্রীর পারিবারিক মাসিক আয়ের শংসাপত্র।

 ৪. সাংসদ/বিধায়ক দ্বারা অনুমোদিত আবেদনকারী ছাত্র/ছাত্রীর পারিবারিক মাসিক আয়ের শংসাপত্র।

 ৫. আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রীর স্বাক্ষরিত বর্তমান পাঠরত বিষয়ের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। সেই শংসাপত্রে তিনি উল্লেখ করবেন যে তিনি কোন বর্ষের /কোন সেমিস্টার-এর শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী কোনও ধরনের স্কলারশিপ/আর্থিক সহায়তা পান কিনা। স্ব-ঘোষিত শংসাপত্রটি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী পাঠরত, তার প্রধানের দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং শিলমোহরযুক্ত হতে হবে।

 ৬. প্রার্থীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্যসহ ( IFSC Code, Branch Code, Branch name, Account Number, Bank Name) ব্যাঙ্ক পাস বইয়ের প্রথমপাতার পরিচ্ছন্ন ফটোকপি

 ৭. টিউশন / অ্যাডমিশন ফি বুক-এর ফটোকপি

 ৮. প্রার্থীর মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের সম্পূর্ণ ঠিকানা

সকল নথির ফটো কপি, ন্যূনতম গ্রুপ-এ সরকারি আধিকারিক দ্বারা প্রত্যয়িত হওয়া প্রয়োজন।

 অনুমোদন ও বিতরণ

আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদনপত্রটি প্রথম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ফান্ড সেল-এ পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করে দেখা হয়। আবেদনপত্রটি প্রয়োজনে পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক বা কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠানো হতে পারে। সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের পর চূড়ান্ত অনুমোদন দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এই আর্থিক সাহায্য শুধুমাত্র একবারের জন্য প্রযোজ্য। অনুমোদিত অর্থ প্রার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যায়। এই আর্থিক অনুমোদন শর্তাধীন, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ কোনও রকম কারণ প্রদর্শন ছাড়াই পূর্বের অনুমোদন বাতিল করার অধিকার রাখে।

 
যোগাযোগ

অনুসন্ধান ও মতামত প্রদান করতে যোগাযোগ করুন :

দূরাভাষ : (০৩৩) ২২৫৩ ৫৩৩৫

 

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল

 সাধারণ তথ্যাবলী

 

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল তৈরি করা হয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ও দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে। যে সকল ক্ষেত্রে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই আর্থিক সাহায্য অনুমোদন করেন সেগুলি হল -

• ব্যয়বহুল চিকিৎসা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যায়

• আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য

• প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আকস্মিক অঘটনে জীবিকার উৎস ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে, পথ, অগ্নি ও অন্যান্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল শাখা (চিফ্ মিনিস্টার্স রিলিফ ফান্ড সেল) বা ফান্ড সেল

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল শাখা বা ফান্ড সেল একটি বিশেষ শাখা। এই শাখায় যে কাজগুলি সম্পাদিত হয় :

• ফান্ড সেলে যে আবেদন পত্রগুলি জমা পড়ে, সেই আবেদন পত্রগুলি অনুমোদনযোগ্য কিনা তা পর্যালোচনা করা এবং অনুমোদিত অর্থ প্রদান করা।

• বার্ষিক নিরীক্ষিত প্রাপ্তি ও ব্যয়ের উপযুক্ত হিসাব রাখা।

অনুদান

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল গঠিত হয় কোনও সদাশয় বা সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ ব্যক্তি/ সামাজিক সংগঠনের আর্থিক সহায়তায়। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের করা ছোট-বড় যে কোন আর্থিক অনুদানে আয়কর আইন,১৯৬১-এর 80G(5) (vi) ধারা মোতাবেক ১০০% আয়কর ছাড় পাওয়া যায়।

ছোট অথবা বড় যে কোনও অঙ্কের অনুদানই সাদরে গ্রহণ করা হয় ।

আগ্রহী ব্যক্তি অথবা সংগঠন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান চেক-এ বা ডিমান্ড ড্রাফট-এ জমা করতে পারেন, “CHIEF MINISTER’S RELIEF FUND” –এই নামে।

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য থাকলে তা চিঠিতে (forwarding letter) উল্লেখ করতে পারেন, অনুদানের অর্থ সেই মোতাবেক খরচ করা হবে।

অনুদানের অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা পড়ার পর সুনির্দিষ্ট অনুদানের রসিদ দেওয়া হয়।